সৈয়দ আখলাক উদ্দিন মনসুরঃ হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় প্রশাসনের চোখে ফাঁকি দিয়ে চোরাইভাবে প্রতিদিন নিরবে সুতাং নদী থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে বালু খেকোরা।
হুমকির মুখে উপজেলার ২ ইউনিয়নে ৮টি গ্রামের ফসলি জমি, রাস্তা, কবরস্থান, ব্রীজ, বসত ভিটা ভেঙ্গে পড়েছে উভয় তীর। কিন্তু প্রতিবাদ করার কেউ নেই?
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, দীর্ঘদিন যাবৎ প্রশাসনের চোখে ফাকি দিয়ে চোরাইভাবে দিবারাত্র উপজেলার ৮ টি গ্রামের ৪০ থেকে ৪৫ জন বালু খেকোচক্র সুতাং নদী থেকে বেলছা ও বালতি নিয়ে পানিতে ডুব দিয়ে বিট বালু, সাদা বালু ও বিট মাটি নৌকায় বোঝাই করে নদী পথে পাচার করছে প্রতিদিন।
এদিকে প্রতিদিন বালু উত্তোলন হচ্ছে ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার ফুট। যাহার মূল্য অর্ধ লক্ষাধিক টাকা। প্রতিটি নৌকায় ২৫০ থেকে ৩০০ ফুট বালু বুঝাই করে হবিগঞ্জ সদর উপজেলায় রাজিউড়া ইউনিয়নের কাটাখালি ও লাখাই উপজেলার বিভিন্ন খেয়াঘাটে নিয়ে বিক্রি করছে এলাকার নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কিছু প্রভাবশালী বালু খেকোরা।
এতে ক্ষতি সাধন হচ্ছে উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়নের ডাকিজাঙ্গাল ও কাজীরগাঁও, নূরপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও, চাঁন্দপুর, আলগাপুর, শ্রীরামপুর, পুরাসুন্দা, শাহজীবাজার, সুরাবই গ্রামের হত দরিদ্র মানুষের হারাচ্ছে বসত ভিটা ও ফসলি জমি। ইতিমধ্যে অনেকেই বসত বাড়ি ও কৃষি জমি ছেড়ে অন্যত্র পালিয়েছেন।
প্রভাবশালী বালু খেকোরা তাদের নিজস্ব লোক দিয়ে প্রতি নৌকায় দেড় হাজার থেকে দুই হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে নিচ্ছে। কিন্তু উক্ত টাকা গুলো এলাকার জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তিরা টাকার ভাগ বাটোয়ারা করে নিচ্ছে, কিন্তু প্রতিবাদ করার কেউ নেই। সরকার হারাচ্ছে প্রচুর টাকার রাজস্ব।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চোরাইভাবে নৌকায় বোঝাই করে বালু উত্তোলন করছে। এলাকার প্রত্যক্যদর্শী জানান, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা সাবেক নির্বাহী অফিসার সুমি আক্তার গোপন সূত্রে ২ বার ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সুতাং নদীর আলগাপুর অভিযান চালিয়ে নৌকায় বোঝাই করা বালু চাঁন্দপুরে এনে আটক করে রাখায় হয় এবং স্থানীয় লোকদের অনুরোধে বালু খেকোদেরকে জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়। তারা চোরাইভাবে বালু উত্তোলন করে কোন দিন বিক্রি করবে না।
সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমি আক্তার বদলী হয়ে যেতে না যেতেই বালু খেকোরা সুতাং নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে। প্রতিদিন অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বালু খেকোরা আঙ্গুল ফুলে কোটিপতি বনে গেছে। সুতাং নদীর উভয় তীরে গ্রামের মানুষ হচ্ছেন নিঃস্ব। এব্যাপারে প্রশাসন ঘন ঘন ভ্রাম্যমান আদালতে অভিযান না করলে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হবে।