ভোগান্তির অপর নাম হবিগঞ্জ পিডিবি তথা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সেবা। নামে বিদ্যুৎ উন্নয়ন হলেও কতটুকু বিদ্যুৎ এর উন্নয়ন হচ্ছে সেটা হবিগঞ্জের মানুষই একমাত্র জানে।
হবিগঞ্জের বিদ্যুৎ সেবা নিয়ে শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার যেনো অভিযোগের কমতি নেই।
হালকা বৃষ্টি, ঝড়, তোফান শুরু হওয়ার পূর্ব মূহুর্তেই বিদ্যুৎ চলে যায়, চলে গেলো যে গেলো আর বিদ্যুৎ আসার নাম গন্ধ নেই এইভাবেই চলছে হবিগঞ্জের বিদ্যুৎ সেবা। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর।
এইদিকে প্রতি শনিবারে বিদ্যুৎ এর ছুটির দিন তো আছেই।
পৌরবাসির বিদ্যুৎ সমস্যার স্থায়ি ভাবে সমাধান করার যেনো কেউ নেই। অথচ হবিগঞ্জে নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থাকা সত্ত্বেও হবিগঞ্জবাসী অন্ধকারে থাকতে হয় এটা দেখার যেনো কেউ নেই। এই আক্ষেপ নগরবাসীর।
এইসব নিম্নমানের সেবা দিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে অনেক ক্ষোভ, অনেক অভিযোগ রয়েছে।
তাদের অধিকাংশের মতে, পবিত্র রমজান মাসে মুসলমানরা রোজা ইফতার, সাহরি পালন করছে এমনকি তারাবিহ নামাজ আদায় করছে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায়।
শনিবার রাত প্রায় ১ ঘটিকায় বৃষ্টি চলাকালীন সময়ে বিদ্যুৎ নিয়েছে রাতে মধ্যখানে দুই তিন বার কারেন্টের সিগনাল দিলেও স্থায়ীভাবে এখনও বিদ্যুৎ আসেনি রাজনগর ফিডারসহ আশেপাশের এলাকায়।
বিদ্যুৎ মেরামত করতে গিয়ে কেনো এতো দীর্ঘ সময় লাগবে? তাও হবিগঞ্জের মতো প্রসিদ্ধ জেলা শহরে এই প্রশ্ন আম জনতার।
রাজনগর এলাকার সুবেল জানান, হবিগঞ্জের মধ্যে সবচেয়ে অবহেলিত এবং নিম্নমানের বিদ্যুৎ সেবা দিচ্ছে এই পিডিপি। আর রাজনগর ফিডারে যেসকল এলাকা আছে এই এলাকায় তো প্রতি শনিবারে বিদ্যুৎ বাবাজির ছুটি, আমাদের টেক্সের টাকায় এমন সেবা চাই না।
শায়েস্তানগর এলাকার আতিক জানান, বিদ্যুৎ এর ভেলকিবাজিতে আমরা অতিষ্ঠ, এর স্থায়ী সমাধান চাই।
মাহমুদাবাদ এলাকার মুন জানান, আগে বিদ্যুৎ এর এই সেবায় অনেক প্যারা খেয়েছি, বাসায় এখন বাধ্য হয়ে আইপিএস লাগিয়েছি, আইপিএসের চার্জ শেষ হয়ে যায় তারপরও বিদ্যুৎ আসার খবর থাকে না।
মাছুলিয়া এলাকার সাকিব লন্ডন থেকে জানান, এই বিদ্যুৎ এর জ্বালানি থেকে এখন অনেক বেঁচে গেছি, দেশে থাকা অবস্থায় শান্তি মত ঘুমাতে, খেতে পারেনি লোডশেডিং এর কারণে।
এখন লন্ডন এসে হাসি পায় তাদের বিদ্যুৎ সেবা আর আমাদের হবিগঞ্জের বিদ্যুৎ সেবা দেখে।
এই দিকে হবিগঞ্জ বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জনাব মনজুর মোর্শেদের নাম্বারে এই বিষয়ে কথা বলার জন্য রাত ৯:৫২ এর দিকে কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেন নি, পরবর্তীতে আরও কল দিলে তার নাম্বার ব্যস্ত দেখায়।