জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

প্রায় ক্রেতাশূন্য পশুর হাট, দুশ্চিন্তায় হবিগঞ্জের বিক্রেতারা

হবিগঞ্জে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির শঙ্কায় কোরবানীর পশুর হাট বসানো নিয়ে দুটানায় পড়েছিল জেলা প্রশাসন। অবশেষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন। এতে খামারিরা খুশি হলেও এবার হাটে দেখা দিয়েছে এক সমস্যা। একদিকে করোনায় আর্থিক সংকট অন্যদিকে বন্যা। দুইয়ে মিলে চরম অবস্থায় রয়েছেন হবিগঞ্জের অধিকাংশ মানুষই। যার ফলে ঈদের শেষ মূহূর্তে এসেও প্রায় ক্রেতা শুন্য হবিগঞ্জ জেলার সবচেয়ে বড় পশুর হাট গুলো।

জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে- এ বছর হবিগঞ্জ জেলায় প্রায় আড়াই হাজার খামার থেকে ৩৫ হাজার গরু, ১৯৬টি মহিষ, ৭ হাজার ছাগল ও ৩ হাজার ৭৬৬টি ভেড়া কোরবানীর পশু হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। তবে করোনা সংক্রামণের ভয়ে সামর্থ্যবান অনেক ক্রেতা খামার থেকেই গরু কিনে নেন। এর মধ্যে করোনা ও বন্যার কারণে অনেক মানুষই এ বছর কোরবানী দিতে পারছেন না।

শুক্রবার বিকেলে শহরের গরুর বাজারে গিয়ে দেখা যায়- অন্য বছরের তুলনায় গরু অনেক কম উঠেছে। একই সাথে ক্রেতা সমাগমও অনেক কম। তবে বেশ কয়েকটি বড় গরু বাজারে উঠলেও সেগুলোর চারপাশে শুধু দর্শনার্থীরাই ছিলেন।

ব্যবসায়িদের দাবী – গরুর দাম অন্য বছরের তুলনায় অনেক কম। এছাড়া সারাদিনে দু’একজন ক্রেতার দেখাও মিলছে না। এতে সারা বছর অনেক টাকা খরচ করে পালিত গরুগুলো নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন খামারিরা। যে ক্রেতারাই আসছেন তাদেরও নজর ছিল ছোট ছোট গরুর দিকে।

অন্যদিকে ক্রেতারা বলছে- করোনায় ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ থাকার কারণে আর্থিক টানাপোড়ানে রয়েছেন তারা। ফলে অন্যবছর বড় গরু কিনলেও এবছর তা সম্ভব হচ্ছে না। যার কারণে সাধ্যের মধ্যে ছোট গরুর কেনার আগ্রহ তাদের বেশি।

এদিকে, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে জেলার বিভিন্ন উপজেলাগুলোর বাজারগুলোতেও একই অবস্থা। বাজারে গরু উঠলেও ক্রেতা সমাগম ছিল না একদম।