হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে এইচ এম মতিউর রহমান নামে এক দন্ত চিকিৎসকের অপচিকিৎসার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
ওই চিকিৎসক স্থানীয় বড় বাজারের রোকেয়া ফার্মেসিতে মতিউর ডেন্টাল কেয়ার নাম দিয়ে নিয়মিত চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
অপচিকিৎসার শিকার হয়ে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে ৯ অক্টোবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ১নং উত্তর পূর্ব ইউনিয়নের পুরান তোপখানা গ্রামের ভুক্তভোগী মোঃ সরাজ মিয়া।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,ভুক্তভোগী সরাজ মিয়া গত ২৯ সেপ্টেম্বর ওই হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে দাতের সমস্যা নিয়ে যান।
এসময় চিকিৎসক মতিউর দরিদ্র সরাজ মিয়াকে দাত ফেলে দেয়ার পরামর্শ দেন।
এরপর ৫শ টাকা ভিজিট নিয়ে রোগী সরাজ মিয়ার দাত ফেলে দেন তিনি।
দাত ফেলার পর হতে সরাজ মিয়ার মুখ ফুলে যায় এবং প্রচন্ড ব্যথা শুরু হয়।
নিজের অবস্থার অবনতির কথা জানাতে পুনরায় ওই ডাক্তারের কাছে যান সরাজ মিয়া।
এসময় ডাক্তার মতিউর ওই রোগীর কোন কথায় কান না দিয়ে নিয়মিত ঔষধ সেবন করতে বলেন।এদিকে তীব্র দাত ব্যথায় গত ৫ অক্টোবর সকালে অজ্ঞান হয়ে পড়েন সরাজ মিয়া।
এসময় তার পরিবার সরাজকে বানিয়াচং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক উনাকে হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর সরাজ মিয়ার জ্ঞান ফিরে।
সেখানকার দন্ত চিকিৎসক সরাজ মিয়ার পরিবারকে জানান,তার চোখ এবং গাল ফুলে যাওয়ার কারণ,তিনি অপচিকিৎসার শিকার হয়েছেন।
ভুক্তভোগী রোগী সরাজ মিয়া বলেন,আমি তার কাছ থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পর মরতে বসেছিলাম।
আমি ওই ভুয়া চিকিৎসকের শাস্তি চাই।
এবিষয়ে জানতে দন্ত চিকিৎসক এইচ এম মতিউর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,বানিয়াচংয়ের বিভিন্ন ধন্যাঢ্য ব্যক্তিদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি আমি।আমি জেনে সরাজ মিয়ার ক্ষতি করিনি,এটা পঁচা শামুকে পা কেটেছেন বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শামীমা আক্তার বলেন, অভিযুক্ত চিকিৎসক যদি ডেন্টাল সার্জন বা ডেন্টাল টেকনিশিয়ান না হয়ে থাকেন তাহলে তিনি কাজটি ঠিক করেন নাই।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন,আমি অভিযোগ এখনো দেখিনি।
অভিযোগ দিয়ে থাকলে দেখে ব্যাবস্থা নেব।