হবিগঞ্জের বানিয়াচং- আজমিরীগঞ্জ উপজেলা রোডে যাত্রীবাহী ও মালবাহী যানবাহন আটক করে এক দিনের ব্যবধানে দু’টি ডাকাতির ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।
দু’টি ডাকাতির ঘটনায় জনমনে বিরাজ করছে আতংক।
অন্যদিকে ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে এবং ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি লাইটেস গাড়ি সহ চালক(ডাকাত) সজীব মিয়া নামের এক ডাকাতকে একটি মোবাইল ফোনসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত লাইটেস চালক (ডাকাত) সজীব মিয়া(২২)বানিয়াচং উপজেলা সদরের ৪নং দক্ষিণ পশ্চিম ইউনিয়নের সাগরদিঘির দক্ষিণ পাড়ের হোসেন আলীর পুত্র।
এলাকাবাসী,গাড়ি মালিক ও থানা পুলিশ সূত্রে
জানা যায়, গত মঙ্গলবার ১৬ অক্টোবর রাত আনুমানিক ১টায় কুন্ডুরপাড় এবং আইনজৈন ব্রিজের মাঝামাঝি স্থানে ৮/১০জনের একদল ডাকাত রাস্থায় ব্লক ফেলে রেখে ঐ রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী মোটর সাইকেল এবং সিএনজি আটক করে তাদের কাছ থেকে মারপিট করে মোবাইল ফোন সহ নগদ কয়েক লাখ হাতিয়ে নিয়ে যায় ডাকাত দল।
এই ডাকাতির ঘটনার ১দিন পর ১৭ অক্টোবর দিবাগত রাতের একই সময়ে একই স্থানে রাস্তায় ব্লক ফেলে একটি লাইটেস ও মাল বাহী পিকআপ ভ্যান আটক করে ডাকাতেরা।
এবং তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন,নগদ টাকা, কাপড় চোপড়সহ মূল্যমান কয়েক লাখ টাকার মালামাল হাতিয়ে নিয়ে যায় এই ডাকাত দল।
পরপর দু’টি ডাকাতির ঘটনায় এলাকাবাসী ও গাড়ি দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীদের মাঝে বিরাজ করছে আতংক।
চাঞ্চল্যের দু’টি ডাকাতির ঘটনায় বানিয়াচং- আজমিরীগঞ্জ রোড দিয়ে রাতের বেলা চলাচল করা ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করেন গাড়ি চালক থেকে শুরু করে যাত্রী সাধাারন।
থানায় ডাকাতের সাথে আটককৃত লাইটেস মালিক বানিয়াচং উপজেলা সদরের ৪নং দক্ষিণ পশ্চিম ইউনিয়নের সাগরদিঘীর পশ্চিম পাড়ের বাসিন্দা মন্জিল মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গতরাতে যাত্রীদের নিয়ে একটি রিজার্ভ টিমে গিয়েছিলেন।
ফজরের আজানের পর হবিগঞ্জের বড় বহুলা গ্রামের পোদ্দার বাড়ি পেট্রল পাম্পে তার গাড়িটি দেখতে পান।
এসময় তিনি গাড়ির কাছে আসলে তিনজনকে ভিতরে বসা অবস্থায় দেখতে পান।
হঠাৎ পাছন থেকে তার চালক সজিব আসলে তাকে জিজ্ঞেস করেন গাড়ি কিভাবে এনেছে এবং চাবি কোথায় পেলো।
তাকে একটা ফোন দিলোনা কেন, সজিব জানান বেশি রাত হওয়ায় ফোন দেয়নি এবং চালক সজিব এর কাছে আরেকটি চাবি ছিলো।
কিছুক্ষণ পর আরও ৪জন সজিবের কাছে আসে তখন তাদেরকে কি বলেছে তিনি শুনেন নাই।তারপর সবাই উধাও হয়ে যায়।
বিষয়টি তার সন্দেহ হলে সজিবকে বুঝতে না দিয়ে কৌশল অবলম্বন করে তার সাথে থাকা গাড়ি থেকে দু’জন যাত্রী নামিয়ে সজিবের গাড়িয়ে উঠিয়ে দিয়ে বানিয়াচং নিয়ে আসেন।
তারপর থানা পুলিশকে খবর দেন তিনি।
এর পূর্বে ডাকাতির শিকার হওয়া মন্নান মিয়া নামের এক জন সজিবকে চিনতে পারেন।
তখন তাকে হালকা ধোলাই দেওয়া হলে তার একটি মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা সজিবের বাড়ি থেকে ফেরত দেওয়ার কথা শিকার করেন গাড়ির মন্জিল মিয়া।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)মোঃ কবির ইসলাম এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসবের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,ডাকাতির ঘটনার পর থেকে আমাদের পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে ওদেরকে গ্রেফতার করার জন্য।
শরিফখানী এলাকা থেকে এই ঘটনার সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে থানার এসআই মনিরুজ্জামানসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পূর্বেই ডাকাত দল পালিয়ে যায়।
এসময় ডাকাতদলের বহনকারী একটি লাইটেস গাড়ি চিহ্নিত করতে সক্ষম হওয়ায় (লাইটেস)গাড়ির চালক সজিব নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয় এবং তার কাছ থেকে ডাকাতি হওয়া একটি স্মার্টফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
এই ঘটনায় মামলা প্রস্তুতি চলছে এবং ডাকাত সজিবকে রিমান্ড চেয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করা হবে।
এছাড়াও চুরি ডাকাতি,মাদক সহ সকল প্রকার অপরাধ মূলক কর্মকান্ড নিমূলে আমাদের পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে জানান ওসি।