হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানা পুলিশের অভিযানে কুখ্যাত গাঁজা সম্রাট আব্দু রউফ এর স্ত্রী আসমাকে ৯কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসমা বানিয়াচং উপজেলা সদরের ৪নং দক্ষিণ পশ্চিম ইউনিয়নের যাত্রাপাশা মালা হাঁটির গাঁজা সম্রাট আব্দু রউফ এর স্ত্রী।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়,আব্দু রউফ দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে এভাবে গাঁজা এনে ব্যবসা করে যাচ্ছিলো।
২৪ ডিসেম্বর (রবিবার) সাড়ে ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন এর নির্দেশে থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই অমিতাভ দাস তালুকদার এর নেতৃত্বে এস আই অঞ্জন কুমার নাহা, এসআই মনিরুল ইসলাম,এসআই স্বপন চন্দ্র সরকার, এসআই মঞ্জুরুল ইসলাম,এসআই শামসুল আরেফিন সহ একদল পুলিশ উপজেলা সদরের ৪নং দক্ষিণ পশ্চিম ইউনিয়ন এর অন্তর্গত যাত্রাপাশা (মালা হাটি) সাকিনস্থ কুখ্যাত গাঁজা সম্রাট আসামি আব্দুর রউফ এর বসত ঘরের পাশে তাহার ভাই আব্দুর রাজ্জাকের বসত ঘরের সামনের দক্ষিণ পাশে আসামির মালিকানাধীন খেড়ের ভোলার (খড়ের লাইচ)এর পূর্ব পাশে হইতে ৯ কেজি গাঁজাসহ আসমাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশের অভিযানকালে কুখ্যাত গাঁজা সম্রাট আব্দু রউফ দৌড়ে পালিয়ে যায়।
পরে থানা পুলিশ মাদক আইনে স্বামী স্ত্রী দু’জনকে আসামি করে গ্রেফতারকৃত আসমাকে দুপুর আড়াইটার দিকে হবিগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।
এদিকে গাঁজাসহ গ্রেফতারকৃত আসমা পলাতক আসামি গাঁজা সম্রাট মৃত গেদা উল্বার পুত্র আব্দু রউফ(৫০)সম্পর্কে জানতে ওসি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,পালিয়ে যাওয়া গাঁজা সম্রাট আব্দু রউকসহ সকল মাদক ব্যবসায়ী ও অপরাধীদের গ্রেফতার করতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
শীঘ্রই আব্দু রউফসহ চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসবেন বলে তিনি আশাবাদী।
অন্যদিকে গাঁজা সম্রাটের স্ত্রী আসমাকে ৯কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার করার বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়লে,বানিয়াচংয়ের ভয়াবহ মাদক ব্যবসার মুখ খুলেন অনেকেই এবং পুরো বানিয়াচং উপজেলা সদরের সব ধরনের ব্যবসায়ীদের তথ্য উপাত্ত দেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পূর্বেকার এক ব্যবসায়ী, কয়েকজন মাদকসেবী ও বিভিন্ন এলাকার কয়েকজন সচেতন নাগরিক আমাদেরকে জানান, বানিয়াচং উপজেলা সদরের ৩নং দক্ষিণ পূর্ব ইউনিয়নের ছিলাপাঞ্জা এলাকার সিজিল,শরিফ উদ্দিন রোডের বন্দের বাড়ির তায়েব আলী,দোয়াখানী মহল্লার মব্বত আলী ও মিয়াখানী মহল্লার কালাম ও খেলু মিয়া,
৪নং দক্ষিণ পশ্চিম ইউনিয়নের কালিকা পাড়ার কুখ্যাত গাঁজা সম্রাট সেলিম মিয়া,১নং উত্তর পূর্ব ইউনিয়নের হাজরা পাড়ার সের আলীসহ কয়েকজন দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে (গাঁজা)মাদকের ডিলারী ব্যবসা করে যাচ্ছে।
অপরদিকে বানিয়াচং সদরের ৪টি ইউনিয়নের ভিতরে ১৫ জনের একটি গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে মরন নেশা(ইয়াবা)নামক মাদকের ব্যবসা করে যাচ্ছে পুরোদমে।
এসব ইয়াবা ব্যবসায়ীরা যেসব এলাকায় ব্যবসা করে যাচ্ছে এর মধ্যে তারাসই, যাত্রাপাশা,চৌধুরী পাড়া(কামার বাড়ি) শরিফখানী,কালিকা পাড়া,দোয়াখানী,বানেশ্বর বিশ্বাসের পাড়া,চান পাড়া,সৈদরটুলা, আদর্শ বাজার,বড়বাজার শহীদ মিনারের পাছনের গল্লী এলাকায়,দাসপাড়া ভাড়াটিয়া বাসায়,সাউথ পাড়া,চুদ্দারী মহল্লা,ইনাথখানী ও পাড়াগাঁও মহল্লা এলাকার ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে বানিয়াচংয়ে এই ভয়াবহ মরন নেশা ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকের ব্যবসাসহ অপরাধ মূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
এতে করে দিন দিন ধ্বংসের পথে এগিয়ে যাচ্ছে যুব সমাজের আগামীর প্রজন্মের তরুনগণ।
তাই যুব সমাজকে রক্ষা করে মাদক মুক্ত সুন্দর একটি বানিয়াচং উপজেলা উপহার দেওয়ার জন্য নবাগত পুলিশ সুপারের সুদৃষ্টি ও জোর দাবী জানিয়েছেন বানিয়াচংয়ের সচেতন মহল।
তারা পুলিশ সুপারসহ দেশের সকল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি জোরালো দাবি জানিয়েছেন।
বানিয়াচংয়ের এসব মাদক ব্যবসায়ীদের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে যেন দেখেন।
এবং তদন্ত সাপেক্ষে যেন এসকল ব্যবসায়ীদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসেন এমনটাই প্রত্যাশা করেন তারা।