হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে চেক ডিজঅনার মামলায় এক নারীকে ১০ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৭ লক্ষ টাকার অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন যুগ্ন দায়রা জজ আদালত।
কিন্তু এদিকে আদেশের পর দীর্ঘদিন যাবত পলাতক রয়েছেন ওই নারী।
দন্ডপ্রাপ্ত নারী ঝরনা বেগম(৪০) উপজেলার ৩নম্বর ইউনিয়নের দেশমুখ্য পাড়া গ্রামের লাল হোসেনের স্ত্রী।
জানা যায়, দন্ডপ্রাপ্ত ঝরনা বেগম ছেলেকে বিদেশ পাঠানোর নাম করে এক মাসের জন্য পার্শ্ববর্তী এলাকার সাহিদুর রহমানের কাছ থেকে ৭লক্ষ টাকা কর্জ নেন।
এক মাস পরে নগদ টাকা ফেরত না দিয়ে পাওনাদারকে ২০২০ সালের ৯ফেব্রুয়ারি ৭লক্ষ টাকার একটি চেক প্রদান করেন এই নারী।
ওইদিনই মামলার বাদী সাহিদুর রহমান টাকা উত্তোলনের জন্য ব্যাংকে যান।
ওই নারীর ব্যালেন্সে পর্যাপ্ত টাকা না থাকার ফলে চেকটি ডিজঅনার হয়।পরদিন ওই নারীকে উকিল নোটিশ করান ভুক্তভোগী সাহিদুর রহমান।সেই উকিল নোটিশের জবাব না পেয়ে পরবর্তীতে ভূক্তভোগী সাহিদুর রহমান ২০২০ সালের ১৮ই মার্চ বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমল আদালত কগ-০৪ হবিগঞ্জে ঝরনা বেগমের বিরুদ্ধে মোকদ্দমা দায়ের করেন।
দীর্ঘদিন মামলা পরিচালনার পর ২০২৩ সালের ৩১ আগষ্ট যুগ্ন দায়রা জজ ১ম আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মিথিলা ইসলাম
১৫১২/২২ইং মামলায় ওই নারীকে ১০ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৭লক্ষ টাকার অর্থদণ্ডের আদেশ দেন।
তাছাড়া দন্ডপ্রাপ্ত নারী ঝরনা বেগম পলাতক থাকায় গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করার নির্দেশ দেন আদালত।
এদিকে মামলার বাদী সাহিদুর রহমান বলেন, ওই নারী একজন প্রতারক এবং বর্তমানে পলাতক রয়েছে।
তাকে ঐ নারীকে কোথাও পাওয়া গেলে আইনের হাতে তুলে দেয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন তিনি।