২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সকাল ৯:২৬

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

বানিয়াচংয়ে ছোট্ট বাচ্চাদের খেলার মাঠ দখল নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ছোট্ট বাচ্চাদের ফুটবল খেলার মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের ৩ দফা সংঘর্ষে ১০জন আহত ও গুরুতর একজনকে সিলেট প্রেরন করার খবর পাওয়া গেছে।

জানা যায়, ২২জুন (শনিবার)বেলা ৪টার দিকে বানিয়াচং উপজেলা সদরের ২নং উত্তর পশ্চিম ইউনিয়নের লস্কর বাড়ির মিনি ফুটবল মাঠে আদমখানী ও লস্করবাড়ীর ছোট্ট বাচ্চারা একই সময়ে ফুটবল খেলতে মাঠে নামে।

এসময় শিশু বাচ্চাদেরকে মাঠ দখল দিতে গিয়ে মুতালিব ঠাকুর ও শহিদুল মিয়া বাকবিতন্ডায় জড়ালে উভয় পক্ষের লোকজন মাঠের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

পরে এলাকাবাসী এগিয়ে গিয়ে সংঘর্ষটি সামাল দেন এবং এই বিষয়টি বসে দেখার ব্যবস্থা করেন।
কিন্তু একটি পক্ষ এভাবে শেষ করতে ইচ্ছুক নন।
তাই তারা তাদের লোকজন নিয়ে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মাঠ ও মহল্লার মধ্যেবর্তী স্হানে ২য় বারের মতো প্রতিপক্ষের লোকজনের সাথে
সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

তখনও আশপাশের লোকজন এসে উভয় পক্ষের সংঘর্ষটি সামাল দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
এই সংঘর্ষের খবরটি উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে জানাজানি হলে তারা বাড়িতে আসতে শুরু করেন।

উভয় পক্ষের লোকজন ঐ বাড়িতে এসে দেশীয় অস্ত্র সস্র নিয়ে বেলা ৫টার দিকে ৩য় বারের মতো মহল্লার ভিতরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে বানিয়াচং থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয়পক্ষের লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০জন আহত হন।

আহত মোতালিব ঠাকুর(৬০) শহিদুল মিয়া(৫৫)রাসিম মিয়া(২২)মাতাব মিয়া(৬০)মবু মিয়া(৫৮)সুজন মিয়া(৩০)রাকিব মিয়া(২০)সহ আরও কয়েকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তী হয়ে চিকিৎসা নেওয়ার খবর পাওয়া যায়।

এদিকে গুরুতর আহত রাকিবকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল থেকে রেফার্ড করে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হুসাইন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,ছোট্ট বাচ্চাদের ফুটবল খেলা নিয়ে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষ বাঁধে। তাৎক্ষণিক খবর পাওয়ার সাথে সাথে একদল পুলিশ গিয়ে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।

এমনকি বড় ধরনের সংঘর্ষের হাত থেকে রক্ষা পান তারা। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলেও জানান তিনি।