২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সকাল ৯:৩০

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

বানিয়াচংয়ে হাওরে ২জন নিখোঁজ! ১জনের লাশ উদ্ধার

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে হাওরের মধ্যে সকালে মাছ ধরতে গিয়ে ২জন নিখোঁজ হন।
এদিকে নিখোঁজ হওয়া দু’জনের মধ্যে বিকালে হাওর থেকে একজনের লাশ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৯জুন
(শনিবার) হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার ১৩নং মন্দরী ইউনিয়নের সুনামপুর গ্রামের সিফাত আলীর পুত্র হুসেন আলী(৪০)ও একই গ্রামের নুরুল ইসলাম মিয়ার পুত্র শাহাআলম মিয়া(১৭)সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে রিং ও কারেন্টের জাল থেকে মাছ ধরতে গিয়ে দু’জন নিখোঁজ হন।

এই হাওরের মধ্যে নিখোঁজ শাহাআলমের আরও ৩ ভাই এই নিষিদ্ধ রিং ও কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ মারছিলেন বলেও জানা যায়।

হাওরের মধ্যে তাদের পালানো জাল থেকে ঐ মাছ খুলতে গিয়েছিলেন এই দু’জন। কিন্তু তারা আসতে দেরী হওয়ায় এবং হাওরের মধ্যে না দেখে খুঁজতে থাকেন অপর ভাইয়েরা।

দীর্ঘ সময় তাদেরকে খুঁজাখুঁজি করে কোথাও না পেয়ে এলাকায় লোকজনের মধ্যেও এই বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়ে।
তখন ঘটনাটি বানিয়াচং থানা পুলিশকে অবগত করা হয়।

পুলিশ বানিয়াচং ফায়ার সার্ভিসকে বিষয়টি অবগত করেন, পরে ফায়ার সার্ভিসের একদল সদস্যও থানার এএসআই আব্দুল খালেকসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলের উক্ত হাওরে উপস্থিত হন। কিন্তু বানিয়াচং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের মধ্যে কোন ডুবুরি দল না থাকার কারণে পরে হবিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসকে অবগত করেন থানা পুলিশ।

হবিগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিসের একদল ডুবুরি উক্ত হাওরের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে খুঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে বিকাল আনুমানিক ৫টার দিকে সুনামপুর হাওর থেকে একজনের লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হন। তবে নিখোঁজ শাহাআলম এর লাশ তখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে পুলিশ জানান।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ ধারণা করছেন,গভীর পানিতে তলিয়ে গিয়ে উদ্ধারকৃত হুসেন আলীর মৃত্যু হয়েছে।

এছাড়াও পানির গভীর স্রোতে পরে যদি শাহাআলম এর মৃত্যুও হয়ে থাকে তাহলে অন্য কোন হাওরের মধ্যে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

উদ্ধারকৃত ব্যক্তি হলো উপজেলার ১৩নং মন্দরী ইউনিয়নের সুনামপুর গ্রামের সিফাত আলীর ছেলে মোহাম্মদ হোসেন আলী(৪০)।

এছাড়া নিখোঁজ থাকা যুবকটি হলো একই গ্রামের নুরুল ইসলাম মিয়ার পুত্র শাহাআলম মিয়া(১৭)।

এব্যাপারে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হুসাইন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,উদ্ধার করা হোসেন আলীর লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।

এছাড়াও নিখোঁজ যুবকের উদ্ধারের চেষ্টায় পুলিশের পক্ষ হতে কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।