হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে মাছের ৫০০ শত টাকা পাওনার জের ধরে শাহাবুদ্দিন ওরফে(লকুস) নামের একজনকে হত্যা করেছেন প্রতিপক্ষের লোকজন। নিহত ব্যক্তি হলো বানিয়াচং উপজেলার ১৩নং মন্দরী ইউনিয়নের আলীম উদ্দিনের পুত্র শাহাবুদ্দিন উরফে(লকুস) মিয়া
(৩৫)।
পুলিশ প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, গতকাল শনিবার (১২ অক্টোবর)
বিকালে একই ইউপি’র ও এলাকার শুকুর আলীর পুত্র রাফিজুল ইসলাম ও তৌহিদুল ইসলামের সাথে মাছ বিক্রির পাওনা ৫০০শত টাকা নিয়ে নিহত ব্যক্তির চাচাতো ভাইদের সাথে সাফির উদ্দিন, জালাল উদ্দিন ও
শাহাব উদ্দিন(৩৫)এর তর্ক বিতর্ক হয়।
এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ (১৩ অক্টোবর)
রবিবার দুপুরে পাওনা টাকা নিয়ে চাচাতো ভাই শাহাব উদ্দিন(৩৫) মাছ শিকার করে বাড়ি ফেরার পথে মন্দরী ইউনিয়ন এর ৭নং ওয়ার্ডের পূর্ব পারার রাস্তায় হাফিজুল,তৌহিদুল ইসলামগং দা দিয়ে কুপিয়ে শাহাবুদ্দিনের উপর হামলা করে গুরুতর আহত করে।
খবর পেয়ে শাহাবুদ্দিনের আত্নীয়-স্বজনগন ঘটনাস্থলে এসে আহত শাহাব উদ্দিনকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহাবুদ্দিন এর মৃত্যু হয়।
এদিকে শাহাবুদ্দিন এর মৃত্যুর সংবাদটি গ্রামের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে উভয়ের লোকজনের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনাসহ বাড়িঘর ভাংচুর লুটপাট করার সম্ভবনা রয়েছে বলেও জানান এলাকাবাসীর নিরপেক্ষ লোকজন।
খবর পেয়ে বানিয়াচং থানা পুলিশ পরিদর্শনে যায়।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার ওসি(তদন্ত)কবির হুসেন এর সাথে রাত ৮টা ৩৪মিনিটে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি নিজে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম এবং লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করার জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে আমাদের পুলিশ রয়েছে।
এখনো এই হত্যাকান্ডের বিষয়ে কোন অভিযোগ পাই নাই। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সর্বশেষ রাত ১০টা পর্যন্ত নিহত শাহাবুদ্দিনের লাশ হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে রয়েছে বলেও প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পাওয়া যায়।