হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সংঘটিত ৯ মার্ডার মামলার অন্যতম আসামি উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রেখাছ মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ৯ নভেম্বর শনিবার দুপুরে বানিয়াচং উপজেলা সদরের ৪নং দক্ষিণ পশ্চিম ইউনিয়নের যাত্রাপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামন থেকে বানিয়াচং থানার পুলিশ তাকে গ্রফতার করে৷ মামলার আইও বানিয়াচং থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেন৷ গ্রেফতারকৃত যুবলীগ নেতা রেখাছ মিয়া বানিয়াচং উপজেলা সদরের যাত্রাপাশা মহল্লার মৃত লাল মিয়ার পুত্র।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগষ্ট বানিয়াচংয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে জনতার সাথে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে।এক পর্যায়ে পুলিশ আন্দোলনকারীদের উপর গুলি চালায়। এতে শিশু বাচ্চাসহ ৮জনের প্রানহানী ঘটে এবং শতাধিকের উপরে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। এসময় আন্দোলনকারীদের হামলায় স্হানীয় এক সাংবাদিক ও পুলিশের এক সাব ইন্সপেক্টর নিহত হয়৷পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের এই সংঘর্ষে মোট ১০জনের প্রানহানীর ঘটনা ঘটে।
৯ মার্ডারের ঘটনায় গত ২২ আগষ্ট নিহত শুরু হাসানের পিতা ছানু মিয়া বাদী হয়ে নিহত ৯ পরিবারের পক্ষে আওয়ামীলীগের সাবেক দুই এমপি,সাবেক দুই উপজেলা চেয়ারম্যান,ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীসহ ১৬০ জনকে আসামি দিয়ে এবং অজ্ঞাত ৩০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ গত ১৮ অক্টোবর মামলার আসামি রায়হান উদ্দিন সুমন ও ১৯ অক্টোবর আওয়ামীলীগ নেতা আরজু মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়৷ ১০ অক্টোবর ঢাকায় র্যাব-১ এর অভিযানে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মক্রমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আহাদ মিয়া গ্রেফতার হন। ১৭ অক্টোবর ঢাকায় র্যাব-১ এর অভিযানে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজান মিয়া গ্রেফতার হন৷ ১৯ অক্টোবর হবিগঞ্জ সদর থানার একটি হত্যা মামলায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন পুকড়া ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আরজু মিয়া। পরে পুকড়া যুবলীগ সভাপতি আরজু মিয়াকে বানিয়াচংয়ের নাইন মার্ডার মামলায় শোন এরেস্ট দেখানো হয়৷