জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

বানিয়াচংয়ে একটি হত্যা মামলায় প্রবাসীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ১৫ জনকে খালাস

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে একটি হত্যা মামলার রায়ে এক প্রবাসীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সাথে এ মামলায় আরও ১৫ আসামিকে খালাস প্রদান করা হয়। এতে মামলার বাদি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ৪ এপ্রিল রবিবার দুপুরে হবিগঞ্জের বিজ্ঞ অতিরিক্ত দায়রা জজ এসএম নাসিম রেজা এ রায় দেন। রায়ে ওই আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি সালেহ উদ্দিন আহমেদ, আসামি পক্ষে ছিলেন রুখসানা পারভীন চৌধুরী। তবে রায়ের সময় দণ্ড প্রাপ্ত আসামি তোফাজ্জল হোসেন পলাতক ছিল। এ ছাড়া অন্য আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিল।

ওই কোর্টের পেশকার সৈয়দ গোলাম হাদি জুয়েল জানান, বানিয়াচং সদরের শেখের মহল্লা গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের সাথে একই এলাকার আব্দুল হান্নান গংদের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে আসামিরা তার উপর মারাত্মকভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। ২০০৭ সালের ২২ সেপ্টেম্বর সকালে আসামিগণের বাড়িঘরে ইসলাম উদ্দিনকে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে।

স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন রাতেই ইসলাম উদ্দিন মারা যায়। এ ঘটনায় ইসলাম উদ্দিনের পুত্র মাঈন উদ্দিন বাদি হয়ে পরের দিন ২৩ সেপ্টেম্বর বানিয়াচং থানায় হান্নানসহ ১৮ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের পরই এ মামলার আসামি তোফাজ্জল হোসেন দুবাই চলে যায়। অপর আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে কারাভোগ করে জামিন লাভ করে। ২০১৮ সালের ১৪ জানুয়ারি বানিয়াচং থানার তখনকার এসআই জিএম আসলামুজ্জামান চার্জশীট দাখিল করেন। ১৭ জন স্বাক্ষির স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় দেয়া হয়।

এ মামলায় হান্নান মিয়া, ইসরাইল, কিলান মিয়া, আহেদ আলী, হাসেন মিয়া, হাসিম মিয়া, আজিদ, আক্তার মিয়া, লেদু মিয়া, সেতু মিয়া, হাদিস মিয়া, সামসু মিয়া, সেবুল মিয়া ও জমসেদ আলীকে খালাস দেয়া হয়। তবে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবি ছিলেন না।

মামলা রায়ের পর বাদি আক্ষেপ করে বলেন, এ রায়ে তিনি সন্তোষ্ট নন। শুরু থেকে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পলাতক। এ ছাড়া সকল আসামিগণ তার পিতাকে অমানসিকভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে। তিনি এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান।

আসামি পক্ষের আইনজীবি জানান, হত্যার ঘটনা প্রমাণিত না হওয়ায় তার ১৫ জন আসামিকে বিজ্ঞ আদালত খালাস দিয়েছেন। এতে তিনি সন্তোষ্ট।