হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে নিজ বসত ঘর থেকে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
নিহত যুবক বানিয়াচং উপজেলা সদরের ১নং উত্তর পুর্ব ইউনিয়নের বাগ মহল্লার পাশ্ববর্তী তোপখানা(কারিগর হাটির)মোঃহারুন রশিদ মিয়ার পুত্র মিনহাজ উদ্দিন মুবিন(২৫)।
শুক্রবার(২১ অক্টোবর)সন্ধ্যার পূর্বে মুবিনের শয়নকক্ষে তার ঝুলন্ত লাশ দেখে শোর চিৎকার শুরু করেন পরিবারের লোকজন।
তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী জানতে পেরে বাড়িতে এসে জুড়ো হয়। এবং বানিয়াচং থানা পুলিশ কে খবর দেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নিহত যুবক পরিবারের অবাধ্য ছিল।যে কারণে তার চলাফেরায় কোন রকম নিয়ন্ত্রণ ছিলোনা।
এদিকে সংবাদ পেয়ে লাশ উদ্ধার করতে থানার এসআই রাকিব হুসেন,এসআই ওমর ফারুকসহ একদল পুলিশ সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে লাশটি ঝুলন্ত অবস্হা থেকে নিচে নামান।
এসময় এলাকার নারী-পুরুষসহ হাজারো জনতার উপস্থিতি ছিলো।
লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করার সময় নিহতের পিতা হারুন রশীদ মিয়া আহাজারি করে পুলিশের উদ্যেশে তার পুত্রের এহেন পরিনতির জন্য এলাকার জনৈক এক যুবক কে দোষারোপ করে মৌখিক অভিযোগ করেন।
পরে উদ্ধারকারী পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বানিয়াচং থানায় নিয়ে আসেন।
এব্যাপারে উদ্ধারকারী পুলিশ অফিসার ওমর ফারুকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি মুবিনের পিতার মৌখিক অভিযোগের কথা স্বীকার করে জানান,
যেহেতু লোকজনের সামনে একজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে এই কারনে লাশটি ময়নাতদন্ত করা হবে।
এবং পরবর্তীতে নিহতের পিতা লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন বলেও পুলিশকে নিশ্চিত করেছেন।
এব্যাপারে জানতে মুবিনের পিতা হারুন রশীদ মিয়ার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার কোন সাড়া না পাওয়ায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)অজয় চন্দ্র দেবের সাথে রাত ৯টা ৭মিনিটে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বানিয়াচং থানায় এখন পর্যন্ত কেউ কোনরূপ অভিযোগ দায়ের করেন নাই।
বর্তমানে লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আগামীকাল শনিবার ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হবে।