হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার ১১নং মক্রমপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বড়কান্দি গ্রামে এক সালিশ বৈঠকে নেওয়াজ আলী(৫৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
তবে এই মৃত্যু নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। কেউ বলছে স্ট্রোক করে মারা গেছেন, আবার কেউ বলছেন হাতাহাতি করার সময় আঘাতজনিত কারণে মারা গেছেন।
বিষয়টি নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। তিনি ওই গ্রামের মৃত মন্নর আলীর পুত্র। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বড়কান্দি বাজারে শহিদ মিয়ার চায়ের দোকানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ইউসুফ আলী ও জহুর আলীর মধ্যে বিরোধ নিয়ে সালিশ হয়।এ সময় উভয়পক্ষের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করে।এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এতে নেওয়াজ আলী অচেতন হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।তবে কেউ কেউ বলছেন নেওয়াজ আলী হাতাহাতির কারণে আঘাত পেয়ে মারা গেছেন,আবার কেউ বলছেন স্ট্রোক করে মারা গেছে। এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য পাওয়া গেছে।তবে ৩য় পক্ষের লোকজন বিষয়টি নিয়ে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, জরুরি খাতায় বড ডেট অর্থাৎ রোগী আসার আগেই রাস্তায় মারা গেছে। বানিয়াচং থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেব জানান,এক সালিশে উত্তেজনা দেখা দিলে উভয়পক্ষে হাতাহাতি হয়।এরপর নেওয়াজ আলীকে হাসপাতালে নিয়ে এলে মারা যায়। পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে মর্গে প্রেরন করে। তবে শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।