হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের হাওরে পুরাখালের বাধ দেয়াকে কেন্দ্র করে দু’গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় ৪শ লোককে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে বানিয়াচং থানা পুলিশ।
বানিয়াচং থানার এসআই গৌতম সরকার বাদী হয়ে ৪২জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৩শ ৫০ জনকে আসামী করে শনিবার এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এস আই আব্দুস ছাত্তারকে। মামলা দায়েরের পরপরই কামালখানী ও মজলিশপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে সংঘর্ষে জড়িত থাকার দায়ে ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এছাড়া অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরান হোসেন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা এবং পুলিশ সদস্যদের আহত করার দায়ে পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেছে।”
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার কামালখানী কানিভাঙ্গা নামকস্থানে পুরাখালে কামালখানী গ্রামের লোকজন বাধ দেওয়ায় মজলিশপুর গ্রামের লোকজন গত বৃহস্পতিার বাধটি ভেঙ্গে ফেলে দেয়।
পরবর্তীতে কামালখানী গ্রামের লোকজন মজলিশপুর গ্রামের লোকজনের নিকট এব্যাপারে জিজ্ঞাসা করে সঠিক জবাব না পেয়ে তাদেরকে বাধের এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেয়।
এতে মজলিশপুর গ্রামের লোকজন মাইকে ঘোষনা দিয়ে তাদের লোকজনকে ঘটনাস্থলে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে যাওয়ার জন্য আহবান জানায়। এ দিকে কামালখানী গ্রামের লোকজনও তাদের লোকজনকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য আহবান জানায়। এক পর্যায়ে উভয় পরে লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের শতাধিক লোক আহত হয়।