সৈয়দ মান্নানঃ প্রশাসনের উদাসীনতায় বাহুবলে ঝুুলে আছে ৭৮ টি জলমহালের ইজারা। সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব। ঘটছে মাছ ধরা নিয়ে মারামারির ঘটনা।
জানা যায় বাহুবল উপজেলার ৭৮ টি জলমহাল ইজারা প্রদানের জন্য গত আগষ্ট মাসে একটি ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এবং গত ১৬ সেপ্টেম্বর দরপত্র জমা ও খোলা শেষ হয়।
৭ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত দেয়ার বিধান থাকলেও আজও বাস্তবায়িত হয়নি। এ নিয়ে হতাশায় ভুগছেন ইজারা গ্রহণকারীরা। না পাচ্ছেন ইজারা না পাচ্ছেন জমাকৃত ফেরত পে অর্ডার।
অপরদিকে মাছের ভরা মৌসুমেও ইজারা কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়ায় সাবেক ও সম্ভাব্য ইজারদারদের মাঝে চলছে দখল পাল্টা দখলের পায়তারা। প্রতিনিয়ত ঘটছে জলমহালে মাছ ধরা নিয়ে মারামারির ঘটনা। পুুলিশের তৎপরতায় তা শান্ত হচ্ছে।
সম্প্রতি স্হানীয় ফতেহপুর গ্রামের পাশে একটি বিলে মাছ ধরা নিয়ে দু’দল গ্রামবাসী সংঘর্ষের প্রস্তুুতি নেয়। খবর পেয়ে বাহুুবল মডেল থানা পুলিশ ও হবিগঞ্জ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
খরিয়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি মিন্নত আলী ২ টি বিলের ইজারা নিতে ইজারা দরপত্র প্রদান করেন। প্রশাসনের সিদ্ধান্তহীনতায় শুষ্কমৌসুম আসায় অনেকেই ইজারা নিতে অনাগ্রহী। কারন অনেক জলমহালে উম্মুক্তভাবে মাছ ধরা চলছে।
অনেকেই ইউ,এন,ও আয়েশা হকের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন। এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে ইউ, এন,ওর সরকারি মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।