হবিগঞ্জ জেলার বাহুবলে জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধ কে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে প্রান হারিয়েছেন দুইজন।
নিহতরা হলেন বাহুবল উপজেলার কামারগাও এলাকার উস্তার মিয়া(৫০) ও ইউসুফ আলী(৪৬)।
এসময় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের আরও ১০/১৫জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার রাত ১০টার দিকে এই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
এসময় ঢাকা সিলেট মহাসড়কে প্রায় ১ ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল।
জানা যায়, উপজেলার কামারগাও এলাকার মকসুদ আলী ও ইউসুফ আলীর মধ্যে একটি ইট ভাটার জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো।
এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মামলা মোকদ্দমাও চলে আসছিলো।
এমনকি প্রতিপক্ষের মামলায় ২সপ্তাহ আগে ইউসুফ আলী কারাভোগ করেন।
এই মামলায় ইউসুফ আলী জামিন লাভ করে জেল থেকে বের হয়ে আসেন।
শনিবার রাতে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের চেরাগ আলী ফিলিং স্টেশনের কাছে একে অপরের উপর হামলা চালায়।এতে উস্তার মিয়া ও ইউসুফ আলী উভয়ই গুরুতর আহত হন।
তাদেরকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে আরেক আহত মকসুদ আলীর অবস্থা গুরতর হওয়ায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল প্রেরণ করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়।
সংঘর্ষে নিহতের খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলীসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
অন্যদিকে নিহতদের খবর গ্রামে স্বজনদের মধ্যে পৌঁছলে উভয় লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এমনকি তারা গভীর রাতে ৬টি বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগ এর ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে খবর পাওয়া যায়।
এ সংবাদ পেয়ে শায়েস্তাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন বলে সূত্রে জানা যায়।
তবে নিহত ইউসুফের প্রতিপক্ষের লোকজন জানান,ঘটনার সময়ে ইউসুফ আলী তার ভাড়াটিয়া লোকদিয়ে ফারুকের লোকজনের উপর হামলা করলে নিরীহ সিএনজি চালক উস্তার গুরুতর আহত হয়। এতে ফারুক মিয়ার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ইউসুফকে আঘাত করলে সেও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
এ ব্যাপারে বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মশিউর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দুই জনের মৃত্যু ও আগুনের বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে আগুন নেভাতেও কাজ করে যাচ্ছেন ফায়ারসার্ভিস এর কর্মীরা।
বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলেও জানান তিনি।