জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

বাহুবলে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষনের ঘটনায় ধর্ষক গ্রেফতার

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থেকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত এক জনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৯। গ্রেফতারকৃত তোফায়েল মিয়া (২০) হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার বাঘেরখাল গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে।

শনিবার (৯ মার্চ) রাতে শহরের হবিগঞ্জ সড়কের বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে তোফায়েল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে পরিকল্পিত ভাবে গণ ধর্ষণের কথা স্বীকার করে বলে র‍্যাব জানায়। জানা যায়, বই মেলায় নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কথিত প্রেমিক, তার দুই বন্ধু ও এক পাহারাদার মিলে নির্জন পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে।

র‍্যাব জানায়, চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার কথিত প্রেমিক মামুন সিএনজি অটো রিকশা যোগে উপস্থিত হয়ে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে পুটিজুরী এসসি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির এই ছাত্রীকে বই মেলায় যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। এতে সে রাজি হলে তাকে নিয়ে অটো রিকশায় উঠে মামুন। সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষায় ছিল তোফায়েল ও শিপন। সিএনজিতে উঠিয়ে মেলায় না নিয়ে অন্য দিকে নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে মেয়েটিকে ওরা জাপটে ধরে। ওই কিশোরী চিৎকারের চেষ্টা করলে তোফায়েলসহ তার অপর দুই বন্ধু মুখ চেপে ধরে। পরবর্তীতে বৃন্দাবন চা-বাগান এলাকার পাশের নির্জন পাহাড়ি স্থানে ছাত্রীটিকে নিয়ে মামুনসহ অন্যরা পালাক্রমে ধর্ষণ করে তাকে। শেষে ধর্ষকেরাই তাকে তার বাড়ির কাছাকাছি পাশে একটি রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

র‍্যাব আরও জানায়, এ কিশোরী ছাড়া আরও একাধিক তরুণীকেও প্রেমের ফাঁদে ফেলে গণ ধর্ষণের পরিকল্পনা ছিল তাদের।

এ ব্যাপারে র‍্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. আনোয়ার হোসেন শামীম জানান, চরম পেশাদার মানসিকতা সম্পন্ন এ ধর্ষক আত্মগোপনের জন্য গত ২০ দিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেরিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখে ধুলা দেওয়ার জন্য সে কোন মুঠোফোন ব্যবহার করা থেকেও বিরত থাকে। তবুও প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার এবং গুপ্তচর নির্ভর তথ্য ব্যবস্থার মাধ্যমে তাকে আটক করা সম্ভব হয়েছে বলে জানান তিনি। এ সময় মামলার অন্যান্য আসামিকেও আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, এ ধর্ষণের ঘটনার তিন দিন পর ৪ ফেব্রুয়ারি ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে বাহুবল থানায় মামলা দায়ের করেন। প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় ঘটনাটি ব্যাপক ভাবে আলোচিত হবার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আসামিদের ধরতে কোমর বেধে মাঠে নামে। তারই ধারাবাহিকতায় র‍্যাব কর্তৃক আসামি তোফায়েলকে আটক করা হয়।