বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় এক প্রাইমারী স্কুলে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নতুন পাঠ্যবই চুরি করে বেঁচে দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করেছেন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মোঃ জসীম উদ্দিন।
এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বড়ইউড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ১ জানুয়ারী বই উৎসবের মাধ্যমে সারাদেশে শিশু শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়েছে সরকার। কিন্তু উপজেলার বড়ইউড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মহসিন মিয়া ছুটিতে থাকা অবস্থায় দায়িত্বে থাকা সহধর্মিনী ফাতেমা বেগমের মাধ্যমে নতুন বই বিক্রির উদ্যেশে অফিস কক্ষে লুকিয়ে রেখে ২০১৫-১৭ সালের পুরাতন বই সংগ্রহ করে দেড়শত শিশুদের হাতে তুলে দেন। একমাত্র দ্বিতীয় শ্রেণির পুরাতন বই সংগ্রহ করতে না পেরে সেই শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই বিতরণ করা হয়।
সারাদেশে নতুন বই আর এখানকার শিশুদের হাতে পুুুুরাতন বই দেখে অভিভাবকদের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
বিষয়টি উপজেলা নির্বাহি অফিসার মো. জসীম উদ্দিন জানতে পেরে বুধবার সকালে সরেজমিনে স্কুলে গিয়ে তদন্তে নামেন। তদন্তে সত্যতা পেয়ে তাৎক্ষণিক অফিসকক্ষে থাকা নতুন বইগুলো জব্ধ করে প্রধান শিক্ষক মো. মহসিন মিয়া ও তার স্ত্রী সহকারি শিক্ষিকা ফাতেমা বেগম কে উপজেলা পরিষদে নিয়ে আসেন।
পরে বিষয়টি নিয়ে ইউএনও মো. জসীম উদ্দিন কার্যালয়ে বসে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নিয়ে বসে আলোচনা করে বিভাগীয় কমিশনার ও সচিব বরাবরে অভিযুক্ত শিক্ষক ও শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেন।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক অভিভাবক বলেন, এই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে পাহাড় পরিমান অভিযোগ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের বরাবরে বহুবার অভিযোগ দেওয়ার পরেও কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় গত এক বছর যাবত স্কুল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন স্থানীয় শুশীল সমাজ। ফলে এলাকার অনেক অভিভাবকরাই তাদের সন্তানদের উপজেলা সদরে বিভিন্ন কিন্ডারগার্টেন ও পাশ্ববর্তী প্রাইমারি স্কুলে নিয়ে ভর্তি করিয়ে দিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহি অফিসার মো. জসীম উদ্দিন বলেন, বিষয়টি জেনে তাৎক্ষণিক তদন্ত করে সত্যতা পেয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছি। আজ বৃহস্পতিবার সহকারি কমিশনার (ভূমি) রফিকুল ইসলাম এর উপস্থিতিতে নতুন বইগুলো শিশুদের মাঝে বিতরণ করা হবে।