দিলোয়ার হোসাাইনঃ হবিগঞ্জের বানিয়াচঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে আলোচনা সভা ও শহীদ মিনার উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ সোমবার (১২অক্টোবর) বিকালে বানিয়াচং মীরমহল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে নব নির্মিত শহীদ মিনার উদ্বোধন শেষে শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এস এম খোকন’র সভাপতিত্বে ও সদস্য মখলিছ মিয়ার সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির ব্যক্তব রাখেন হবিগঞ্জ ২ এর সংসদ সদস্য এডভোকেট আব্দুল মজিদ খান, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কাশেম চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আমিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা আক্তার, বানিয়াচং উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম সরকার প্রমুখ।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মীরমহল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুজিত বিশ্বাস, বানিয়াচং উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান মিয়া, রত্না উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম এ তাহের, প্রধান শিক্ষক সাইফুল আলম. আসাদুজ্জামান খান, কামরুজ্জামান খান,ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আফরোজা বেগম, এস এম খলিলুর রহমান রাজু, সহকারী শিক্ষক, কমিটির সদস্যগণ ও অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব এডভোকেট মোঃ আব্দুল মজিদ খান বলেছেন, ”শহীদ মিনার আত্ম মর্যাদার প্রতীক, চেতনা সাম্য মাতৃভাষার প্রতীক। শহীদ মিনারের সাথে জড়িয়ে আছে বাংলার ইতিহাস।”
এমপি আব্দুল মজিদ খান আরো বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে জোড়ালো দাবি অনেক পুরোনো। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুারি প্রথম পাকিস্থানি শাসক গোষ্ঠির রক্তস্নাত রোসানলে পড়ে নিরস্ত্র স্বাধীনচেতা বাঙ্গালীরা। ভাষার জন্য জীবন দিয়ে বাঙ্গালীরাই দেখিয়ে দেয় দাবি আদায়ের পথপরিক্রমায়। এরপর নানা পর্যায় পেরিয়ে ৭১’। একাত্তরের যুদ্ধেই আসে চূড়ান্ত বিজয়।
তবে ভাষা আন্দোলনের প্রতীক হয়ে রয়েছে শহীদ মিনার। ভাষা শহীদদের স্মৃতিকে অমর করে রাখার জন্য ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে গড়া হয় স্মৃতিস্তম্ভ, এটাই পরে শহীদ মিনার হিসেবে পরিচিতি পায়।
এই শহীদ মিনার তৈরির পেছনেও রয়েছে এক সুদীর্ঘ ইতিহাস। নতুন প্রজন্মকে শহীদ মিনারের ইতিহাস সম্পর্কে অবহিত করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষার মানোন্নয়ন করতে হলে শিক্ষক অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমন্বয় ঘটাতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকলেই কেবল মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব। বর্তমান সরকার শিক্ষাবান্ধব সরকার। প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ সকল স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করতে সরকার বদ্ধ পরিকর।