জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

বিভাগের স্থান পরিবর্তন নিয়ে উত্তাল বৃন্দাবন কলেজ

আব্দুল হাফিজ ভূঁইয়াঃ হবিগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ বৃন্দাবন সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের স্থান পরিবর্তন নিয়ে উত্তাল কলেজ ক্যাম্পাস। এক বিল্ডিং হতে অন্য বিল্ডিংয়ে স্থানান্তর এর সিদ্ধান্তে নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

বৃন্দাবন সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগ বর্তমানে অবস্থান করছে শাহ এস. এম. কিবরিয়া ভবনে। সেখান হতে স্থানান্তর করা হয় কলেজের গণিত বিভাগের জায়গায়। যা কলেজের জীর্ন ভবন গুলোর অন্যতম।

বিগত একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ইলিয়াস বকত চৌধুরীর প্রস্থাবে এজেন্ডা বহির্ভূত আলোচনার মাধ্যমে বাংলা বিভাগের স্থান পরিবর্তনের এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বিভাগের স্থান পরিবর্তন নিয়ে উত্তাল বৃন্দাবন কলেজ
শাহ এস. এম. কিবরিয়া ভবন

এ বিষয়টি জানতে পেরে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। মিছিলটি কলেজ প্রদক্ষিন করে অধ্যক্ষের কাছে এর প্রতিবাদ জানায়।

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ জানান, ”আমরা অধ্যক্ষ স্যারের কাছে গিয়েছি, তিনি আমাদের আস্বস্ত করেছেন, আমরা না চাইলে স্থান পরিবর্তন করবেন না।”

বিভাগের স্থান পরিবর্তন নিয়ে উত্তাল বৃন্দাবন কলেজ
বর্তমান গণিত বিভাগের ভবন

বাংলা বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম বলেন, ”বিভাগটি শুরু থেকে এখানে আছে। ঐতিহ্যের এই বিভাগের উন্নতি না হয়ে অবনতি হবে তা পীরাদায়ক। তাই বিষয়টি কোন শিক্ষার্থী মানতে পারছেনা।”

উলেক্ষ্য হবিগঞ্জ জেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বৃন্দাবন সরকারি কলেজ। যে সকল বিভাগ নিয়ে কলেজে অনার্স মাস্টার্স শুরু হয় তন্মধ্যে বাংলা বিভাগ অন্যতম। ১৯৯৮ সালে শুরু হওয়া বিভাগটির তেমন কোন উন্নয়ন না হলেও বরাবরই ভাল ফলাফল করে আসছে এর শিক্ষার্থীরা। সাহিত্যের এই বিভাগের নেই পর্যাপ্ত শ্রেণি কক্ষ, নেই পূর্ণাঙ্গ লাইব্রেরি। ছোট একটি সেমিনার কক্ষ নিয়ে ১৯৯৮ হতে আজো তেমনি আছে কলেজের পুরাতন এই বিভাগটি।

বিভাগের স্থান পরিবর্তন নিয়ে উত্তাল বৃন্দাবন কলেজ
শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলছেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ এলিয়াস হুসেন

স্থানান্তরে বিষয়ে বৃন্দাবন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ এলিয়াস হুসেন বলেন, ”এজেন্ডার বাহিরে হলেও বিষয়টি বিভাগের প্রয়োজনে আলোচনা হয়েছিল। কোন সিদ্ধান্ত বা নোটিশ বাংলা বিভাগকে দেইনি। শিক্ষার্থীরা তাদের কথা বলেছে, তারা পরিবর্তন চায়না। তারা না চাইলে কোন পরিবর্তন হবেনা।”