জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

বৃন্দাবন কলেজ ছাত্রদলের কমিটিতে অছাত্র আহবায়ক ও সদস্য সচিব হলেন আ’লীগের মেয়রের কর্মী

নানা অনিয়ম ও টাকা পয়সা লেনদেনের অভিযোগের মধ্য দিয়ে গঠিত হল হবিগঞ্জে ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিট কমিটি। শিক্ষা, ঐক্য এবং প্রগতির যে মূলনীতি নিয়ে হাঁটার কথা সেখানে এখন চলছে অনৈক্য, অশিক্ষিত এবং টাকার খেলা।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের অধীনে ২৬ টি ইউনিট কমিটির মধ্যে ১ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে ১৯ টি ইউনিট কমিটি প্রকাশিত হয়। জেলার গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট হবিগঞ্জ সদর উপজেলা, হবিগঞ্জ পৌর শাখা এবং বৃন্দাবন সরকারি কলেজ ছাত্রদল ইউনিটে অযোগ্যরা নেতৃত্বে এসেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সবচেয়ে বড় অভিযোগ উঠেছে বৃন্দাবন সরকারি কলেজ ছাত্রদল ইউনিটের আহবায়ক কমিটি নিয়ে। গুরুত্বপূর্ণ দুইপদ আহবায়ক মোঃ শফিকুল ইসলাম রুহেল ও সদস্য সচিব হলেন আবিদুর রহমান রাকিবকে নিয়ে উঠেছে অভিযোগ। ।

আহবায়ক মোঃ শফিকুল ইসলাম রুহেল বৃন্দাবন সরকারি কলেজ থেকে ডিগ্রিপাস কোর্স শেষ করেছেন ২০১৭ সালে। উল্লেখ্য ডিগ্রিপাস কোর্সের মাস্টার্স কোর্স বৃন্দাবন কলেজে নেই। তারপরও তিনি হলেন কলেজের আহবায়ক।

বৃন্দাবন কলেজ ছাত্রদলের কমিটি 10
আহবায়ক মোঃ শফিকুল ইসলাম রুহেলের ডিগ্রি পাসের মার্কশিট।

আর সদস্য সচিব আবিদুর রহমান রাকিবের বিরুদ্ধে  অভিযোগ হবিগঞ্জ পৌরসভার আওয়ামী লীগের মেয়র মোঃ মিজানুর রহমানের একনিষ্ট লোক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোঃ শফিকুল ইসলাম রুহেল বলেন, “আমি এই কলেজেরই ছাত্র; কেন্দ্রে এর প্রমান দিয়েছি বিদায় আমাকে কমিটিতে রেখেছে।”

আবিদুর রহমান রাকিব বলেন, “এটি সম্পূর্ন মিথ্যা একটি অভিযোগ। আমি আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগের সাথে জড়িত নই। আমি একটি সামাজিক সংগঠনের সভাপতি। সামাজিক সংগঠনের উপদেষ্টা হচ্ছেন আমাদের বর্তমান পৌর মেয়র।”

বৃন্দাবন কলেজ ছাত্রদলের কমিটি
অনুমোদিত কলেজ কমিটি।

 

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় বিভাগীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রায়হান উদ্দিনের সাথে। তিনি শফিকুল ইসলাম রুহেলের ব্যপারে জানান,  রুহেল এখনো ইমপ্রুভ দিচ্ছে, তাই তাকে রাখা হয়েছে। আর আবিদুর রহমান রাকিবের ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

তাদের বিষয়ে জানতে ছাত্রদলের জেলা সভাপতি এমদাদুল হক ইমরান ও সেক্রেটারি রুবেল চৌধুরির মোবাইলে যোগাযোগ করতে চাইলে তাদের নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।