মোঃজাকির হোসেনঃ হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মাধবপুর বাজারে এলাকায় অবস্থিত সবজি বাজারকে মাধবপুর উপজেলা মাঠে স্থানান্তর করে উপজেলা প্রশাসন। সেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সবজি ক্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়।
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে পানি জমে যায়, হাটার মত অবস্থা নেই বললেই চলে। এতে বিড়ম্বনা ও ক্ষতিতে পড়তে হচ্ছে সবজি বিক্রেতাগণকে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাধবপুর উপজেলা মাঠে কাঁচাবাজারে বিভিন্ন দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এসেছে বাজার করার জন্য আবার কিছু ক্ষুদ্র বিক্রেতা নিজের চাষ করা জমির সবজি নিয়ে বসেছেন। কিন্তু বসার মত জায়গায় নেই উচু করে নিচে ইটের স্লব দিয়ে তার ওপর কাঠের পাটাতনের মত করে নিয়মিত দোকানিরা দোকানদারী করছে।
তাতেও বাধছে সমস্যা। জোরে বৃষ্টি আসলেই ভিজে যায় আলু পেঁয়াজসহ আরও অনেক মালামাল। কাদা পানি মাড়িয়ে বাজার করতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
বাজার সবজি কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছোট্টু মিয়া বলেন, সরকার যেখানে আমাদের স্থানান্তর করেছে সেখানেই রয়েছি। কিন্তু ঝড় বৃষ্টি হলে দোকান ঠিক মত করা যায় না। নিচে পানি হয়ে যায় এক হাঁটু।
ছোট্টু মিয়া আরো বলেন, দোকানদারি করতে অসুবিধা হয়। তারপরও কষ্ট করে দোকান পাট খুলছি। পরিবার পরিজন নিয়ে বাঁচার জন্য দোকান খুলছি। আমরা নিজেরা টাকা ওঠায়ে মাঠে পানি যাওয়ার জায়গা করে দিয়েছি। এমন অবস্থা হলে আমরা দোকান বন্ধ করে দিবো। আমরা বারবার উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করছি, শুধু আশ্বাস দিচ্ছে।।
ক্রেতা সাইফুল ইসলাম, আলেম খাঁ সহ আরোও অনেকে বলেন, মাধবপুরে বাজার ভিতরে সবজি বাজার ছিল। করোনার সংক্রমণের কারণে কাচামালের বাজার মাধবপুরে উপজেলা মাঠে। এখানে ক্রেতারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সবজি ক্রয় করলেও আকাশের বৃষ্টির কারণে বাজারে এই অবস্থা সৃষ্টি হয়। যাওয়ার জায়গা নেই। কাদামাটি হয়ে হাঁটু গেরে যাওয়ার অবস্থা।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আয়েশা আক্তার বলেন, তরকারি বাজার খোলা, জায়গা ছাড়া অন্যত্রর সরানোর করোনা পরিস্থিতিতে কোনভাবেই সম্ভব না। উনারা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, আমি স্যারের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সমাধান করা হবে।