হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান বলেছেন, আমাদের বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের জীবন যদি সুস্থ সুন্দর এবং নিরাপদ করে গড়ে তুলতে পারি তাহলে ভবিষ্যত প্রজন্ম হবে নিরাপদ। তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুস্থ ও সুন্দর পৃথিবী গড়ে তোলা আমাদের সকলের দ্বায়িত্ব।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের নিরাপদ এবং তাদের ভবিষ্যৎ জীবনের কথা লক্ষ্য রেখে সারা দেশে এই টিকাদান কার্যক্রম শুরু করেছেন। দেশের কৃষক শ্রমিক জেলে শিক্ষক শিক্ষার্থী কেউ বাদ যাবেনা, পর্যায়ক্রমে সবাইকে এই কোভিড-১৯ টিকা প্রদান করা হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় শহরের টাউন হলে শিক্ষার্থীদের কোবিড -১৯ টিকা প্রদান কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধনকালে তিনি একথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, হবিগঞ্জে ইতিমধ্যে দেখা যাচ্ছে মাদকের ছোবল বেড়ে গেছে, ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর হয়েছে। তাই আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভাল এবং চরিত্রবান বন্ধুকে নির্বাচন করতে হবে।
জেলা প্রশাসনের উদ্ধোগে আয়োজিত জেলা শিক্ষা অফিসের ব্যবস্থাপনায় উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌর সভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিম, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ আলমগীর চৌধুরী, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নুরুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডাঃ এ কে মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিন্টু চৌধুরী, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রুহুল্লাহ, সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ আমিনুর রশিদ সরকার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বর্ণালী পাল, মেডিকেল অফিসার ডাঃ ওমর ফারুক প্রমুখ।
উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে আরো জানানো হয় যে, হবিগঞ্জ জেলায় ১৮হাজার এইচ এস সি পরীক্ষার্থীকে ফাইজারের টিকা প্রদান করা হবে। প্রতিদিন ২হাজার শিক্ষার্থীকে টাউনহলে টিকা প্রদান করা হবে। নিদিষ্ট দিনে মাদ্রাসা ও কলেজ কতৃর্পক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হবে টিকা প্রদানের তারিখ। সকল শিক্ষার্থীকে সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসা ও কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়। পর্যায়ক্রমে সকল শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনা হবে।
এসময় মেয়র আতাউর রহমান সেলিম বলেন, করোনার টিকা প্রদানের জন্য হল রুমের ভাড়া এবং বিষয়ে যেসকল খরচ হবে তাহা তিনি বহন করবেন।