জাতীয়তাবাদি দল বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তজার্তিক সম্পাদক আজমিরীগঞ্জ ও বানিয়াচংয়ের মাটি ও মানুষের নেতা আহমেদ আলী মুকিব আব্দুল্লাহ বলেছেন – আমি এই হাওর এলাকার কৃষক পরিবারের সন্তান৷ বিগত ১৪ বছর আমি দেশে আসতে পারিনি৷ ফ্যাসিস্ট আমলে আমি দেশে আসলে আমাকেও হয়তো খুনি হাসিনার সরকার ইলিয়াছ আলীর মতো গুম করে ফেলতো। কিন্তু বিদেশে আমি আরামে থাকিনি,, এক দেশ থেকে আরেক দেশে ঘুরে বেড়িয়েছি দলের জন্য, জনগনের জন্য৷ দেশ ও গনতন্ত্রের জন্য সভা সমাবেশ ও দলকে সুসংঘটিত করেছি৷ আমি বিদেশে থেকেও দলের প্রতিটা নেতাকর্মীর খোজ খবর নিয়েছি৷ মামলা মোকদ্দমায় সহযোগিতা করেছি৷
তিনি বলেন, দেশের জনগন বিগত ১৭ টি বছর ভালো ছিলোনা৷ বিগত ১৭টি বছর দেশের সার্বভৌমত্ব ও জনগনের জনমাল রক্ষায় বিএনপি নেতাকর্মীরা জান বাজি রেখে আন্দোলন করেছেন৷ এখন ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর আমরা প্রকাশ্যে মিটিং করতে পারছি৷ তার জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি৷
তিনি আরও বলেন, ২০ বছর আগে একবার আমি মন্দুরী গ্রামে এসেছিলাম৷ এখনও সেই আগের মতোই রাস্তাঘাট আছে৷ বিগত ১৭ বছর এই এলাকায় কোনো উন্নয়ন হয়নি৷
শুধু নিজেদের পকেট ভাড়ি করেছেন৷
উন্নতি হয়েছে আওয়ামীলীগের নেতাদের৷ কানাডার বেগম পাড়ায় এমপি মন্ত্রীদের বাসা বাড়ি হয়েছে৷ ৫ আগষ্টের পর আর কাউকেই পাওয়া যায়নি৷ সবাই পালিয়ে গেছে৷ এমনকি দুর্নীতির কারনে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব পর্যন্ত পালিয়ে গেছে৷ ১৯৭৯ সালের পর বানিয়াচং- আজমিরীগঞ্জ আসনে ধানের শীষ পাশ করতে পারেনি৷। তাই আাগমি নির্বাচনে তিনি ধানের শীষের পার্থীকে ভোট দিয়ে পাশ করানোর জন্য আহবান জানান৷
আহমেদ আলী মুকিব বলেন, যার হাতে ধানের শীষ থাকবে তার সাথে জনগনকে নিয়ে আমিও থাকবো৷ দল ক্ষমতায় আসলে আমি যদি এমপি নাও হই আপনাদের পাশে থাকবো৷ রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে এলাকার উন্নয়ন করাবো৷
তিনি দলের নেতাকর্মীদেরকে
জনগনের পাশে দাড়ানোর জন্য বলেন৷ ফ্যাসিষ্টদের দুসররা যাতে আবার মাথা চাড়া দিয়ে না দাড়াতে পারে৷ দলের নেতাকমীদেরকে ঠিক থাকতে হবে৷
বিএনপি হলো একটি বিশাল বটগাছের দল৷ এই দলে প্রতিযোগিতা থাকবে৷ প্রতিহিংসা থাকবেনা৷ এই দল হলো শহীদ জিয়ার খেটে খাওয়া মানুষদের দল৷ ঐক্যবদ্ধের কোনো বিকল্প নাই৷ আাসুন ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলের জন্য কাজ করি৷ যাকেই দল টিকেট দেয় তার সাথেই আমরা থাকবো৷ আর যারা প্রতিহিংসার বশবর্তি হয়ে উল্টাপাল্টা কথা বার্তা বা কাজ করছেন,
আল্লাহ যেনো তাদেরকে হেদায়েত দান করেন৷
তিনি গতকাল শুক্রবার বিকেলে মন্দুরী বাজারে মন্দুরী ইউনিয়ন ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্দোগে তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে লিফলেট বিতরণ ও আলোচনা সভায় উপরোক্ত কথাগুলো বলেন৷ ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হান্নান মিয়ার সভাপতিত্বে ও ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বদির মিয়ার পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বানিয়াচং উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান শেখ বশির আহমেদ, বানিয়াচং উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়ারিশ উদ্দিন খান, জেলা যুবদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কুহিনুর আলম,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সৈয়দ মুশফিক আহমেদ,বানিয়াচং উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মুহিবুর রহমান বাবলু,উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মিয়া, জেলা যুবদলের প্রথম যুগ্ম আহবায়ক রুবেল চৌধুরী, দক্ষিন বানিয়াচং যুবদলের সভাপতি নুরুল হুদা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ নাসের, আজমিরীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য শরিফ চৌধুরী, বিএনপি নেতা আব্দুর এনামুল হক,আব্দুর রাজ্জাক, ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শমসের উদ্দিন, যুবদল নেতা মুর্শেদ আলম,উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মজনু, জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ক্বারি আব্দুল মতিন,বিএনপি নেতা লুৎফুর রহমান,উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সুমন মিয়া প্রমূখ ৷ আলোচনা সভায় কুরআন তেলাওয়াত করেন ছাত্রদল নেতা শাকেদ হাসান৷