৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
বিকাল ৩:৩১

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

মাধবপুরে ইফতারের বাজার বসলেও ক্রেতা নেই

জাকির হোসেনঃ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের মধ্যেই এসেছে পবিত্র মাহে রমজান, তবে এবারের রমজান ঠিক আগের মতো নয়,

রমজান মাসের প্রায় অর্ধেক সময় হয়ে গেলেও, হবিগঞ্জের মাধবপুরে কোথাও নেই ইফতার কেনাবেচার ধুম মাধবপুর উপজেলা বিভিন্ন বাজারে নেই বাহারি ইফতার কেনাবেচার ব্যস্ততা, এ এক অন্যরকম রমজান মাস উদযাপন করতে চলেছে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা, শত শত বছর ধরে রমজানে ইফতার বিকিকিনি হয়ে এলেও এবারের দৃশ্য ভিন্ন, নেই বাহারি ইফতার নেই হাঁকডাক।

রবিবার (১০-মে) সরেজমিনে দেখা যায়, মাধবপুর বাজারের অলিতে গলিতে নেই বাহারি ইফতারের মেলা, তবে কোনো কোনো দোকানদার সীমিত আকারে কিছু ইফতার বিক্রি করছেন, এবার অন্যবারের মতো আস্ত মুরগির ফ্রাই, জালি কাবাব সুতি কাবাব টিকা কাবাব শাহী কাবাব কবুতরের রোস্ট, কোয়েলের রোস্ট ডিম চপ ডিম কোপ্তা ভেজিটেবল রোল, চিকেন রোল দইবড়া হালিম লাচ্ছি পনির পাচ্ছেন না রোজাদাররা।

মাধবপুর বাজারের বিউটি হোটেলের মালিক হাজী মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন সাংবাদিক কে জানান, ভাই ১ মাস ১৫ দিন ধরে দোকান বন্ধ বাঁচার আর কোনো উপায় দেখছি না, তাই জীবন বাঁচাতে কিছু জিনিস বানাচ্ছি বিক্রি করার জন্য।

মাধবপুর বাজারের আরোক ব্যবসায়ী আঃ মান্নান মিয়ার একই অবস্থা তিনি বলেন, জিলাপি কেজি ৮০ টাকা ছোলা ১০০ টাকা ও পেঁয়াজু ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি কিন্তু এবার ক্রেতা নেই বললেই চলে, আর দোকান মাত্র দুই ঘন্টা খোলা রাখেন তিনি, সাংবাদিক জাকির হোসেনকে, আরো বলেন রোজাদাররা অনেক রকম ইফতার না পেয়ে ফলমূলের দিকে নজর দিচ্ছেন, অনেকেই ইফতারে আপেল মাল্টা তরমুজ কিনে নিচ্ছেন হাতের নাগালের দামের মধ্যে।

মাধবপুর বাজারে ফল কিনতে আসা, ডিএসবির এসআই সাইকুল ইসলাম সুজন জানান, করোনার কারণে সবরকম ইফতারের আইটেম বাড়িতেই তৈরি করে খান তারা, তিনি খেজুর নিতে এসেছেন বাজারে।