২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
রাত ২:২৬

জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

মাধবপুরে ঈমাম নিয়ে সংঘর্ষে আহত শতাধিক

 

হবিগঞ্জের মাধবপুরে মসজিদের ইমামকে কেন্দ্র করে দুই উপজেলার সংঘর্ষে শতাধিক আহত ও দোকানপাট লুট ভাংচুর।

হবিগঞ্জের মাধবপুরে মসজিদের ইমামকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের সংঘর্ষে প্রায় অর্ধ শতাধিক আহত ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

(১৬ আগষ্ট) শুক্রবার উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের হরষপুর এলাকায় এঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,স্থানীয় মাধবপুর উপজেলার জামিয়া হরষপুর দারুল উলুম মাদরাসা মসজিদের ইমাম নিয়ে দুই বছর ধরে বিরোধ চলে আসছে এ ঈমাম কেন্দ্র করে মাধবপুর উপজেলার হরষপুর গ্রাম ও পাশ্ববর্তী বিজয়নগর উপজেলার প্রাক-হরষপুর গ্রামের লোকদের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।

ওই বিরোধ মিমাংসার জন্য স্থানীয় প্রশাসন গতকিছু দিন পূর্বে একজন ইমাম নিয়োগ দিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করেন।

এরপর পরিস্থিতি বেশ কিছুদিন স্বাভাবিক ছিল।
কিন্তু আজ শুক্রবার (১৬ আগষ্ট) হঠাৎ জুম্মা নামাজের পর উভয় গ্রামের লোকজন মসজিদের ইমামকে নিয়ে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
পরে প্রাক-হরষপুর গ্রামের লোকজন মাইকে ঘোষণা দেশীয় অশ্র নিয়ে মাধবপুর উপজেলার হরষপুর রেলস্টেশনের ব্যবসায়ীদের উপর অতর্কিত হামলা করে এতে প্রায় শতাধিক মানুষ আহত হয় এবং আশংকাজনক অবস্থায় শিয়ালউড়ি গ্রামের রাজু আহমেদ , সুলতানপুর গ্রামের জামাল সহ ৫ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

অন্যান্য  আহতরা হলেন,সামিদ মিয়া(৩৫), আরমান মিয়া (১৭)সুচন মিয়া(২৮), কাউছার আহমেদ(৩২), জামাল মিয়া (৫৫),ইয়াসিন শাহ(২১), রাসেল(১৬), ফুল মিয়া(২৮) চান মিয়া(৪৫), মঈদ উদ্দিন রাজু(২৪)। ।

সংঘর্ষে হরষপুর রেলস্টেশন বাজারের প্রায় ৫০ টি দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়।
প্রায় তিনঘন্টা ব্যাপী এ সংঘর্ষ চলে।
ঘটনায় ঢাকা-সিলেট ও সিলেট -চট্টগ্রাম আন্তঃনগর রেল যোগাযোগ সাময়িক বন্ধ থাকে।
স্থানীয় ধর্মনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ পারুল জানায়,বিজয়নগরের কতিপয় সন্ত্রাসীরা মাদ্রাসার মসজিদের অজুহাতে হরষপুর বাজারের অন্তত ৩০ থেকে ৪০ জন ব্যবসায়ীর দোকানপাট ভাঙচুর ও লুট করেছে।অনেকে আহত হয়েছে।
তারা নিরস্র মানুষের উপরে হামলা করে নজিরবিহীন ঘটনা সৃষ্টি করেছে।

মাধবপুরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) জাবেদ মাসুদ জানান, বর্তমানে কিছুটা পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
খবর পাওয়া মাত্রই আমরা সেনাবাহিনী ও বিজিবির সহযোগিতা চেয়েছিলাম। রেলওয়ে স্টেশনের ব্যারিয়ার পড়ে থাকার কারণে আমাদের ঘুরে আসতে কিছুটা দেরি হয়েছে। তবে এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।