জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

মাধবপুরে কিশোর অপরাধ বৃদ্ধি, আতঙ্কে অভিভাবক!

হবিগঞ্জের মাধবপুরে কিশোরদের মধ্যে মাদকাসক্তের হার বৃদ্ধি এবং জুয়া খেলার প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় এলাকায় চুরি চিন্তাই এর ঘটনাও বেড়ে চলেছে সমান তালে।

এসব কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে কম বয়সী রিকশা অটোরিকশা ও সিএনজি চালক থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত উচ্চবিত্ত ঘরের সন্তানেরাও। এদের মধ্যে সিংহভাগ ইয়াবা আসক্ত হয়ে পড়েছেন। উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন হাট বাজারের চা দোকানগুলো জুয়ার আড্ডার প্রধান স্থান হিসেবে পরিণত হয়েছে। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলেই চা এর স্টল গুলো এলাকার উর্তি বয়সের খুদে জুয়ারীদের দখলে চলে যায়। কোন কোন স্টলে একাধিক আসরও বসে। তারা জুয়া খেলার উপাদান হিসেবে মোবাইল ফোনকে ব্যবহার করে। জোয়ার আসর চলে মধ্যরাত পর্যন্ত।

এ কিশোর মাদক সেবি ও জুয়ারীরা অর্থের সন্ধানে সন্ধ্যার পরেই নেমে পড়ে চুরির মতো জঘন্য কাজে। মসজিদ মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাসা বাড়ির পানির পাম্প টিউবওয়েল মসজিদের মাইক মাইকের মেশিন ব্যাটারি সহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র প্রতি রাতেই চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে তারা।

এ অবস্থা চলে আসছে প্রায় বছর যাবত। গত কয়েকদিনে উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের সাত পাড়া গ্রামের সাংবাদিক আবুল হোসেন সবুজের বাথরুমের পানির পাম্প মোঃ নাসির মিয়ার পানির পাম্প উত্তরপাড়া মসজিদের পানির পাম্প সাতপাড়া মসজিদের মাইকের মেশিন ও টিউবওয়েল লালবানুর টিউবওয়েল আব্দুল বারিকের টিউবওয়েল ফরিদ মিয়ার টিউবওয়েল হুরন আলীর টিউবওয়েল বাদল দেবনাথ এর টিউবওয়েল সুভাষ বিশ্বাসের টিউবওয়েল দুলাল বিশ্বাসের টিউবওয়েল ও পানির পাম্প,সাউথ কাশিমনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের পানির পাম্প ভবানীপুর মসজিদের মাইক মঙ্গলপুর মসজিদের ছয়টি সিলিং ফ্যান সহ শতাধিক বাড়ি ঘরে এসব ছুরির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও রাস্তায় বসে থাকা হাঁস মুরগি ছাগল বেড়া সহ ছোট ছোট গরু সুযোগ মত অটোরিকশা ও সিএনজিতে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।কিছুদিন পূর্বে সাতপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের একটি ষাঁড় সিএনজি অটো রিক্সায় উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে ।

মনোহরপুর গ্রামের খোকন মিয়ার একটি পানির পাম্প চুরির পর চোর সহ মনতলা তেমনিয়া নামক স্থানের এক বাঙারির দোকান থেকে পাম্প উদ্ধার করা হয়। এ কিশোর বয়সের মাদক সেবী ও জুয়ারীদের এখনই সংশোধন বা প্রতিকারের ব্যবস্থা না নিলে এলাকার অবস্থা ভবিষ্যতে ভয়ংকর রূপ ধারণ করবে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন কয়েকজন অভিভাবক।

এ অবস্থার কারণে নিজেদের সন্তানদের নিয়েও আতঙ্কের মধ্যে আছেন অভিভাবকরা। তাই জরুরী ভিত্তিতে এসব অপরাধের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।