হবিগঞ্জের মাধবপুরে বিগত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হট্টগোলে ভাঙচুর ও মারামারির ঘটনায় ৫ জন সাংবাদিককে আসামী করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নাশকতার ঘটনার জেরে দায়ের করা মামলায় আসামী হয়েছেন-দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ অলিদ মিয়া, দৈনিক সংবাদ এর মোঃ এরশাদ আলী, দৈনিক জনকণ্ঠের প্রতিনিধি শংকর পূল চৌধুরী, দৈনিক জননী প্রতিনিধি মোঃ নাহিদ মিয়া ও হবিগঞ্জের বাণী মিজানুর রহমান।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর মাধবপুর থামায় রুজু হওয়ায় ৩০ নং মামলায় সাবেক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এড. মোঃ মাহবুব আলীকে প্রধান আসামী করে ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বাদী উপজেলার সীমান্তবর্তী ধর্মঘর ইউনিয়নের দেবপুর গ্রামের চান মিয়ার ছেলে আমিনুর রহমান।
এ ব্যাপারে মাধবপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও ওই মামলার আসামী হওয়া আমাদের সময়ের প্রতিনিধি মোহাম্মদ অলিদ মিয়া বলেন, সাংবাদকর্মিদের বরাবরই বলির পাঠা বানানো হয়।সাংবাদিকদের মিথ্যা মামলায় উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে আসামী করে হয়রানী হীন মনমানসিকতার পরিচয় দেওয়া হচ্ছে। সাংবাদিকদের হয়রানী ও মামলা থেকে বাদ দিয়ে মুক্ত সাংবাদিকতা বিরোধী এই বৈষম্য দূর করার দাবী জানাচ্ছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার একজন বিএনপি নেতা জানান, এই সাংবাদিকরা অনেকেই স্বৈরাচারী সরকারের বেশি সাংবাদিকতা করতো।তারপরেও তাদেরকে মামলায় আসামি করা এটি আইনগত বিষয় আমার কিছু বলার নেই।
মাধবপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন,
৪৬ জন আসামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে মামলার প্রত্যেকটা বিষয় তদন্তে আমরা সচ্চার রয়েছি।
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সুপারিয়েনটেন্ট মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন জানান,সাংবাদিকরা সমাজের আয়না।কেউই আইনের উর্ধ্বে নয় এটাও সত্য।তবে পেশাগত সাংবাদিকদের মামলায় আসামি করার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন কাম্য।