জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

মাধবপুরে নিজ অর্থায়নে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ শুরু করেন আলহাজ্ব আতিকুর রহমান

মোঃজাকির হোসেনঃ হবিগঞ্জের মাধবপুরে করোনা ভাইরাস আতঙ্কে অসহায় কর্মহীন মানুষ দু’বেলা খেতে পারছে না। প্রকৃত কর্মহীন অসহায়দের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তালিকা প্রস্তুত করে তাদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেয়া শুরু করলেন উপজেলার আন্দিউড়া ইউনিয়ন পরিষদের বারবার নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান, মাধবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব আতিকুর রহমান।

জানা যায়, খাদ্য সামগ্রী বিতরনের প্রথম দিনে বৃহস্পতিবার সকাল উপজেলার আন্দিউড়া ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামে ১২০ জন ও দুপুরে দূর্গাপুর গ্রামের ১১০ জন কর্মহীন অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন।

সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতিকুর রহমান নিজে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে অসহায় কর্মহীন পরিবারের মাঝে নিজের অর্থায়নে এ খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিচ্ছেন।

প্রতিটি খাবার প্যাকেটে লিখা ছিল “ঘরে থাকুন,সুস্থ থাকুন। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকারকে সহযোগীতা করুন আপনাদের বিপদে আমার সামান্য উপহার গ্রহন করুন।
আলহাজ্ব আতিকুর রহমান
সাবেক চেয়ারম্যান
আন্দিউড়া ইউনিয়ন পরিষদ”

ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে সুলতানপুর গ্রামের গফুর মিয়া জানান, “আতিক আমাদের সাবেক ও জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ছিলেন। আমাদের বিপদে তিনি পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, এরকম চেয়ারম্যান আমরা চাই। প্রতিটি গ্রামে তিনি অসহায় পরিবারের তালিকা প্রস্তুত করে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করবেন বলে জানা গেছে।”

আন্দিউড়া ইউনিয়নের এক ইউ/পি সদস্য তাপস জানান, “ইউনিয়নের সুখে দুঃখে আতিক চেয়ারম্যানকে আমরা পাশে পাই। তিনি সাবেক হয়েও এলাকার অসহায় মানুষদের ঘরে খাবার পৌছাইয়া দিতেছেন।”

এ ব্যাপারে আলহাজ্ব আতিকুর রহমান ‘হবিগঞ্জ নিউজ’ কে বলেন, “বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার দেশে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। মানুষকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে কাজ করে চলছেন এবং সরকারিভাবে অসহায়দের সহায়তা করছেন। লোক সমাগমে করোনার ঝুকি বাড়ে তাই আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে খাদ্য সামগ্রী অসহায় কর্মহীন পরিবারে গ্রামে গ্রামে গিয়ে বিতরণ করার চেষ্টা করছি।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের নিজেদের জন্য নিজেকে সচেতন হতে হবে। সচেতনতার বিকল্প নাই। নিজেকে নিজে কোয়ারেন্টিন করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় চলাফেরা কমিয়ে দিয়ে দিতে হবে। আর প্রবাসীদের যারা ইতোমধ্যে দেশে এসেছে, তাদের কোয়ারেন্টিন থাকতে হবে। এটা নিজেকে, নিজের পরিবারকে তথা সমাজ ও দেশকে সুরক্ষার জন্যই এই কোয়ারেন্টিন থাকতে হবে।”