মোঃজাকির হোসেনঃ বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সবাই যখন ঘরে অবস্থান করছে। সরকার সবাইকে ঘরে থাকতে উৎসাহিত করছে। ঠিক তখনই উল্টো পথে হাঁটছে হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মাধবপুর উপজেলার নীতিনির্ধারকরা।
দেশে দিন দিন বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রুগী ও মৃতের সংখ্যা। সারা দেশের ন্যায় মাধবপুর উপজেলার সাধারণ মানুষও আছে ভয়াবহ করোনা আতংকে।
কিন্তু মাধবপুর উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎতের নীতিনির্ধারকরা করোনা ভাইরাসকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সামাজিক দুরত্ব না মেনে বিদ্যুৎ বিল গ্রহণের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এর জন্য গ্রাহকদের অসচেতনতাকেও দায়ী করছেন অনেকে।
রবিবার (১৭ মে) সকালে সরেজমিনে মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের ধর্মঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই জনসমাগম করে চলছে পল্লী বিদ্যুতের বিল গ্রহণের কাজ।
পল্লী বিদ্যুতের নোয়াপাড়া জোনাল অফিসেও একই পদ্ধতিতে বিল গ্রহণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেককেই ছবি ও ভিডিও পোস্ট করে সমালোচনা করতে দেখা গেছে।
পল্লী বিদ্যুতের মাধবপুর অফিসে ফোন করলে জানান, বছরের শেষে হিসাব ক্লোজ করতে হবে তাই গ্রাহকদের অনুরোধ করা হয়েছে বিল পরিশোধ করতে। সাধারণত গ্রাহকেরা ব্যাংকের মাধ্যমে বিল পরিশোধ করে কিন্তু এখন কোন ব্যাংক বিদ্যুৎ বিল গ্রহণ করছে না। তাই বাধ্য হয়ে গ্রাহকেরা অফিসে এসে বিল পরিশোধ করছেন। অফিসের সামনে যথেষ্ট
জায়গা না থাকায়, সবাই অফিসে বিল দিতে চলে আসায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরও জানান, সরকার জুন পর্যন্ত আবাসিক মিটারের বিলম্ব মাশুল মাফ করেছে। এছাড়া অন্য মিটারের বিল সময় মতো পরিশোধ না করলে জরিমানা দিত হবে।