হবিগঞ্জের মাধবপুরে পীর হতে গিয়ে কবরে প্রবেশ করে মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফিরেছেন এক ব্যক্তি।
উপজেলার শাহজানপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। ওই গ্রামের ইউছুফ আলী দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় কবিরাজি করে আসছিলেন।সাধারণ লোকজনকে পানি পড়া, তাবিজ, কবজ দিয়ে আসছিলেন।
হঠাৎ এলাকায় প্রচার করেন তিনি কবরের ভিতর যাবেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কবরে থাকলেও তার কিছু হবে না। এই কথা শুনে এলাকার লোকজনের মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি হয়।
গত রোববার ইউছুফ আলী স্থানীয় চেয়ারম্যান তৌফিকুল আলম চৌধুরীর নিকট গিয়ে কবরের ভিতর প্রবেশের অনুমতি চাইলে চেয়ারম্যান তাকে কোনো অনুমতি দেননি। সেখান থেকে নিরাশ হয়ে তিনি গ্রামে ফিরে এসে স্বজনদের কবর খুঁড়তে বলেন।
এই খবর এলাকায় লোকজনদের মধ্যে প্রচার হলে শতাধিক উৎসুক জনতা তার এই কবরে প্রবেশ করার দৃশ্য দেখতে ভারতীয় সীমান্তবর্তী গ্রাম নোয়াগাঁও গ্রামের ভিড় করেন।
একপর্যায়ে ইউছুফ আলী মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে তিনি কবরে প্রবেশ করেন। তারপর স্বজনরা কবরটির ওপরে প্রথমে বাঁশের চাটাই, তারপর পলিথিন ও সব শেষে মাটিচাপা দিয়ে দেন। তবে মাটির ওপর দিয়ে কয়েকটি ছোট ছোট ছিদ্র রাখা হয়।
মাটিচাপা দেয়ার কয়েক মিনিট পর কবরের ভিতর তার কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন তার স্বজনরা। ছিদ্র দিয়ে দেখেন তিনি অজ্ঞান হয়ে গেছেন।
দ্রুত স্বজনরা মাটি ও পলিথিন, বাঁশের চাটাই সরিয়ে কবরের ভিতর তাকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে স্বজনরা ও স্থানীয় লোকজন তাকে কবর থেকে টেনে উপরে তুলেন। এর পর থেকেই অসুস্থ হয়ে ইউছুফ আলী বাড়িতে আছেন।
এই ঘটনাটি মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে মাধবপুর সর্বত্র আলোচনার ঝড় সৃষ্টি হয়।
তিনি জনগণকে বোঝাতে চেয়েছিলেন তিনি বড়
যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলা কিছু স্পিকার ও এর ইতিহাস
সাধক। এটি সফল হলে জনগণ তার প্রতি আস্তা তৈরি হতো। আর তার কবিরাজি ব্যবসা ভালো চলত। এটি একটি কুসংস্কার।
শাহজাহানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৌফিকুল আলম চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ইউছুফ আলী তার কাছে কবরে এ প্রবেশ করার অনুমতি নিতে গেলে তিনি থানায় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট থেকে অনুমতি নিতে পরামর্শ দেন।