হবিগঞ্জের মাধবপুরে জব্দকৃত পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে গিয়ে লঙ্কাকাণ্ড ঘটেছে। পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে শিশুসহ ৫ ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
গুরুতর আহত ফারুক মিয়া (৪৫) কে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
কৃষ্ণনগর গ্রামের আহাদ মিয়া বলেন, “সামান্য কিছু পেঁয়াজ বিক্রি করে প্রশাসন বিক্রি করা বন্ধ করে দেয়। অনেক নারীও পেঁয়াজ কিনতে এসে খালি হাতে ফিরে গেছে।”
ক্রেতাদের অভিযোগ, সাধারণ পাবলিক লাইন দাঁড়িয়ে থাকলেও উপজেলা বিভিন্ন অফিসের কয়েকজন কর্মচারীকে একাধিকবার পেঁয়াজ নিয়ে যেতে দেখা যায়।
মাধবপুর থানার ওসি গোলাম দস্তগীর আহমেদ বলেন, “বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে চুনারুঘাট থেকে আসা পেঁয়াজভর্তি একটি পিকআপ ভ্যান (ঢাকা মেট্রো- ১৫-৪৩৫৭) মাধবপুর হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাবার পথে পুলিশ আটক করে।”
“আটকের পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসনুভা নাশতারানের উপস্থিতিতে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলা চত্বরে ৫০ টাকা কেজি দরে সাধারণ ক্রেতাদের কাছে বিক্রি শুরু করেন।”
মিস্টার দস্তগীর আরো বলেন, “৫০ টাকা কেজি পেয়াজ বিক্রির খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় জনতা উপজেলা চত্বরে জড়ো হয়। এ সময় লোকজনদের ধাক্কাধাক্কিতে নারী-শিশুসহ ৫ জন আহত হয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দেয়া হয়।”
কয়েক বস্তা বিক্রি করার পর বাকি পেঁয়াজের বস্তাগুলো উপজেলা মিলনায়তনে নিয়ে রাখা হয়। পরে জনতার চাপে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে শুক্রবার বেলা ১১টায় অবিক্রীত পেঁয়াজগুলো বিক্রি করা হবে বলে হ্যান্ড মাইকে ঘোষণা করা হয়।