হবিগঞ্জের মাধবপুরে মারামারির মামলায় দীর্ঘদিন যাবত পলাতক থাকার পর অবশেষে জেলখানায় ঠাই হল প্রাইমারি শিক্ষক মনিরুজ্জামান’র।
তিনি উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়ন এর সুন্দরপুর গ্রামের মৃত তৈয়ব আলীর ছেলে এবং জগদীশপুর চা বাগান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক।
জানা যায়, ২৬ আগষ্ট ২০২২ইং সকালে সুন্দরপুর গ্রামের হাজি রহমতউল্লার ছেলে আব্দুল ওয়াহেদ তার বাড়ির পাশে একটি খাল থেকে কতিপয় গ্রামবাসীর সহায়তায় মাটি কেটে পরিস্কার করতে গেলে মনিরুজ্জামানরা দলবল নিয়ে বাধা দেয়।বাধা পেয়ে তারা চলে যায়।পরে ঐ দিন দুপুরে মসজিদ জুম্মার নামাজ পড়ে আব্দুল ওয়াহেদ এর লোকজন মনিরুজ্জামান দের বাড়ির পাশ দিয়ে নিজবাড়ি ফেরার পথে রামদাসহ দেশিয় অস্রসস্র নিয়ে পরিকল্পিত হামলা চালিয়ে প্রায় ১৫ জনকে রক্তাক্ত জখম করে৷ এসময় মনিরুজ্জামান এর রামদা’র আঘাতে আমানতউল্লা ও রজব আলী গুরতর আঘাত প্রাপ্ত হন বলে মামলায় উল্লেখ করেন।৷
এঘটনায় আব্দুল ওয়াহেদ বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করা হলে দীর্ঘদিন পর গত ২০ আগষ্ট ২৩ইং মনিরুজ্জামান৷ আদালতে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তার জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণ করেন।
এবিষয়ে জগদীশপুর চা বাগান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমল সরকার জানান সহকারি শিক্ষক মনিরুজ্জামান স্কুলে এমসি জমা দিয়ে আদালতে হাজির হলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম জাকিরুল হাসান জানান আমরা তার বেতন বন্ধ করে রেখেছি এবং থানার ওসি সাহেবকে তার অবস্থান জানাতে লিখেছি ওসি সাহেব যদি জানান সে জেলে আছ তাহলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হবে।