জানা যায়, ওই গ্রামের শাহ আলম মিয়ার বাড়ির কাছে বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানোর পর বাচ্চাগুলা অসহায় অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। এদের মা বিড়ালটি বাচ্চাগুলোকে ছেড়ে যায়নি। স্থানীয় জনগণের সহায়তায় লোকজনের সহায়তায় পাখি প্রেমিক সোসাইটির সদস্যরা খবর পেয়ে বন বিভাগকে জানায়।
পরে সিলেটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের পরামর্শে স্থানীয় রেঞ্জ কর্মকর্তা
মোঃখলিলুর রহমান ও স্থানীয় সাংবাদিক ও পাখি প্রেমিক সোসাইটি প্রতিনিধি সোহাগ মিয়া,শাহজীবাজারের ফরেস্ট গার্ড সৈয়দ হামিদুর রহমান, গ্রাম পুলিশ মোখলেছুর রহমান ও সাংবাদিক রুবেল আহমেদ রনি প্রমুখের সহযোগিতায় নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে আসেন এরা। এদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে স্থানীয় রঘুনন্দন পাহাড়ে অবমুক্ত করা হয়।
হবিগঞ্জে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী জানান,বন্যপ্রাণী উদ্ধার আমাদের রেগুলার রুটিন কাজ। আজকে পাখি প্রেমিক সোসাইটির সদস্যরা মেছোবিড়াল গুলোকে উদ্ধার করে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো তাদের বিশেষ ধন্যবাদ জানালাম।
মেছোবিড়াল বর্তমানে বিলুপ্তপ্রায় পর্যায়ের প্রাণী। যা সাধারণত জলাভূমি,বরাবর নদী, প্রবাহ, অশ্বখুরাকৃত হ্রদ, জলাভূমি, এবং ম্যানগ্রোভতে বাস করে। এদের উপস্থিতি সেখানকার জলাভূমির অবস্থার ভালো-মন্দ নির্ধারণে সাহায্য করে।