ভারতের তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরে একটি চায়ের দোকানে কাজ করতেন আমান৷ সারা দেশে লকডাউন চলাকালীন একটি বাইক চুরি করেন তিনি ৷ উদ্দেশ্য ছিল একটাই নিজের দেশের বাড়িতে পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়া ৷ আর সত্যিই যে শুধু সেই জন্যে বাইক চুরি করেছিলেন তার প্রমাণ পাওয়া গেল সপ্তাহ দুয়েক পরেই ৷ কারণ বাইকটি যাঁর তাঁর কাছেই সপ্তাহ দুয়েক পরে পার্সেল করে বাইকটি পাঠিয়ে দেন ৷
বাইকের মালিক সুরেশ কুমারকে ডেলিভারি সেন্টার থেকে ডেকে পাঠানো হয় ৷ ৩৪ বছরের সুরেশ একটি ইঞ্জিনিয়ারিং দ্রব্য প্রস্তুতকারক সংস্থা চালান ৷ দু সপ্তাহ আগে তিনি দেখেছিলেন তাঁর হিরো হন্ডা স্পেলন্ডর বাইকটি চুরি গিয়েছে ৷ এদিন ডেলিভারি সেন্টারে এসে দেখেন তার সেই বাইকটিই আছে ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যখন পার্সেল ডেলিভারি সেন্টারে পৌঁছে তিনি আশ্চর্য হয়ে যান ৷ নিজের সাধের বাইক দেখতে পেয়ে অভিভূত হয়ে যান ৷ তবে নিজে সরাসরি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি তিনি ৷
জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যায় কুমার সিসিটিভ ফুটেজ যোগাড় করেছিলেন যা দেখে স্থানীয়রা দোষীকে সনাক্ত করতে পেরেছিল ৷ জানা যায় স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে কাজ করে সে ৷ আশা করা হচ্ছে বাড়ি ফিরে যাওয়ার পর সেই কোয়েম্বাটুরের পাল্লাপালায়ম থেকে বাইটি পার্সেল করে পাঠিয়ে দেয় ৷
তবে যে ফেরত পাঠিয়েছিল সে হাতে তুলে দেওয়ার জন্য টাকা অবশ্য দিয়ে দেয়নি তাই কুমারকে ১০০০ টাকা দিয়ে সেটা নিজের বাড়ি নিয়ে যেতে হয় ৷