জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

লকডাউন বা সরকারি ছুটির কোন সিন্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি

কামাল আহমেদ

বেশ ক’দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যমে দেশে সরকারি ছুটি ও লকডাউন ঘোষণা নিয়ে বেশ আলোচনা ও সমালোচনা চলছে। এদিকে দেশে বিভ্রান্তি তৈরিরে উদ্দেশ্যে গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলে সোমবার সরকারের এক তথ্য বিবরণীতেে উল্লেখ করা হয়।

তাতে বলা হয়, “ করোনাভাইরাসজনিত রোগের প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশে লকডাউন বা সরকারি সাধারণ ছুটি নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি দেখা যাচ্ছে। সরকার সুস্পষ্টভাবে জানাচ্ছে যে, করোনাভাইরাস জনিত রোগের প্রাদুর্ভাবের কারণে লকডাউন বা সরকারি ছুটির বিষয়ে সরকার এখনও কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি।একটি মহল অসৎ উদ্দেশ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ২০২০ সালের ২৩ মার্চে প্রকাশিত সরকারি ঘোষণার পুরানো ভিডিও ভাইরাল করেছে ” জানিয়ে সোমবারের তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, এ ধরনের ‘অসত্য ও বিভ্রান্তিকর’ তথ্য প্রচারে জড়িতদের বিষয়ে ‘কঠোর ব্যবস্থা’ নেবে সরকার।

সরকার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গতবছর ২৩ মার্চ প্রথমবারের মত ‘সাধারণ ছুটির’ ঘোষণা দিয়েছিল। শুরুতে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ‘ছুটি’ ঘোষণা হলেও পরে তার মেয়াদ বাড়ে কয়েক দফা। ছুটির মধ্যে সব কিছু বন্ধ থাকার সেই পরিস্থিতি ‘লকডাউন’ হিসেবে পরিচিত পায়।

সেই ছুটি ঘোষণার খবর নিয়ে একটি টেলিভিশনের ‍পুরনো একটি ভিডিও রোববার ফেইসবুকে ছড়ালে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। অনেকেই সেটা নতুন লকডাউনের ঘোষণা বলে ধরে নেন, ফলে ছড়িয়ে পড়ে গুজব।

এর মধ্যে তেজগাঁওয়ে সিএমএসডির নতুন ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর স্বাস্থ্য সচিব আব্দুল মান্নানকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা।
উত্তরে তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত এ রকম কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের হাতে নেই।” এরপর আব্দুল মান্নান বলেন, “আপনারা জানেন যে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এই জাতি উদযাপন করছে, সারা পৃথিবীতে বাঙালিরাও এটি উদযাপন করছে যথাযোগ্য মর্যাদায়। তাহলে আমাদের বুঝতে হবে, আমাদের যদি পরবর্তীতে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হয়, হয়তবা নেওয়া হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত একেবার লেভেল থেকে আমাদের কাছে এ রকম কোনো সিদ্ধান্ত এখনও আসে নাই।”

এরপর বেশ কয়েকটি টেলিভিশন সচিবের ওই বক্তব্যের ভিত্তিতে ‘২৬ মার্চের পর সাধারণ ছুটি হতে পারে’ বলে খবর দিতে শুরু করে। তখনই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বার্তা পাঠিয়ে ওই খবর ‘ভুয়া’ বলে জানান।