লকডাউনের ১ম দিনের চাইতে ২য় দিনে হবিগঞ্জ শহর সেই চিরচেনা রূপে ফিরে এসেছে। অপরদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কৌশলে মানুষকে করোনা বিষয়ক স্বাস্থ্য সচেতন করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
আজ মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, যানজটসহ মানুষের ব্যাপক আনাগুনা।
দুর পাল্লার কোন গাড়ী হবিগঞ্জ বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে না গেলেও সিএনজি অটোরিকশা এবং টমটম দিব্যি যাত্রী পরিবহন করেছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার বার সাবধানতাসহ বিভিন্ন প্রচারণা চালানো হচ্ছে । তবে সন্ধা গড়ানোর সাথে সাথে মানুষের আনাগুনা কমে আসে। আবার ব্যাবসায়ীরা দাবি করছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে তাদেরকে ব্যবসা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য।
তবে শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় স্বাস্থ্যবিধি না মেনে যাত্রী পরিবহনের দায়ে টমটম অটোরিকশাকে ট্রাফিক পুলিশ ৩৩টি মামলা দিয়েছে।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সারা জেলায় ১২ মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৮২টি মামলা এবং ১৩হাজার ৬০০টাকা জরিমানা আদায়ের পাশাপাশি জনসচেতনতা ও মাস্ক পরিধানে উদ্ধোদ্ধ করা হয়।
এদিকে করোনার মহামারীর ১ম ঢেউ চলাকালীন সময়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট এবং বিপনী বিতানের সামনে সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা ছিল চোখে পড়ার মত, কিন্তু এবারের তা প্রায় অদৃশ্যমান, কোথাও চোখে পড়ছেনা তেমন কোন সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা। তবে সাধারণ মানুষের দাবি, শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে গুলোতে সাবান পানির ব্যবস্থা রাখলে ভাল হত।
খোজ নিয়ে জানা যায়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ইতিপূর্বে শহরের যেসকল জায়গায় জনসাধারণের জন্য হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করেছিল সেগুলো প্রায়ই বিকল হয়ে আছে, সাবানতো কোথাও নাই, কোন কোন জায়গায় পানির ট্যাপ আছেতো পানি নাই, আবার কোন কোন জায়গায় পানি আছেতো ট্যাপ নাই।

ছবিঃ সৈয়দ সালিক আহমেদ।
এবিষয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল কবীর ভুইয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, শহরের ৮টি স্থানে হাত ধোয়ার বেসিন বসানো হয়েছে এবং জেলায় ২৬টি, প্রতিটি বেসিন নির্মানে খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা করে এবং এগুলো রক্ষনাবেক্ষণ করবে সংশ্লিষ্ট অফিস কর্তৃপক্ষ।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উন্মুক্ত স্থানে হাত ধোয়ার বেসিন বসানোর পরিকল্পনা আমরা ইতিমধ্যে গ্রহণ করেছি, অচিরেই সেগুলো বাস্থবায়ন করা হবে।