হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার ৫ নং করাব ইউনিয়নের গুনিপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হক এর ছেলে কালাই মিয়ার নেতৃত্বে অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি খনন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার গুনিপুর গ্রামের কালা মিয়া ও ভাংচুর মামলা দ্রুত বিচার আইনের আসামি মোঃ আউয়াল মিয়া সহ কয়েকজন মিলে গুনিপুরে টমটম স্ট্যান্ডের পশ্চিমে মশাদিয়ার বন্দ নামক স্থানে জমি থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে দেদারসে মাটি উত্তোলন করছে। যা দেখার কেউ নেই। ড্রেজার দিয়ে মাটি খননের ফলে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। যার কারণে পরিবেশের ভারসাম দ্রুত নষ্ট হচ্ছে।মাটি খননের জন্য মাইলের পর মাইল পাইপের সংযোগ দিয়ে চলছে অবৈধ ড্রেজিং। যার কারণে আশপাশের তিন ফসলের জমিগুলো ডোবায় পরিণত হবে বলে স্থানীয়দের ধারণা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, কালাই মিয়া ও আওয়াল মিয়া প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাটি খনন করে থাকে।
অভিজ্ঞ ও সচেতন মহলের ধারণা এই চক্রটিকে নির্মূল করতে হলে প্রশাসনের নজরদারি বাড়াতে হবে।তা না হলে চক্রটির চুর পুলিশ খেলা বন্ধ হবে না। সচেতন মহলের ধারণা এক একটি ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রতিমাসে যে পরিমাণ অবৈধ অর্থ আয় হয়। সে তুলনায় ড্রেজার ব্যবসায়ীকে জরিমানা কিংবা ড্রেজার মেশিন জব্দ করে যে ক্ষতি হয় তা অতি সামান্য। যার কারনে মোবাইল কোর্ট করে চলে গেলে, আবার মেশিন কিনে মাটিকাটায় মরিয়া হয়ে উঠে অবৈধ মাটিখোর গুলো। উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় অসাধু ড্রেজার ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন যাবত সক্রিয়।
অবৈধ ভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে এ বিষয়ে জানালে তিনি ২৭ নভেম্বর রোজ বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা তাৎক্ষণিক ভাবে বুল্লা ইউনিয়নের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা আব্দুস সালাম কে ঘটনার স্থানে পাঠান। তিনি বলেন ,প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এব্যাপারে উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা আব্দুস সালামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ঘটনার স্থানে গিয়ে আলামত জব্দ করি। এবং বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অবগত করেছি যাতে মাটি না কাটে সেই ব্যাপারে নিষেধ করে এসেছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা জানান, অবৈধভাবে ডেজার দিয়ে বালু উত্তোলনকারী যেই হোক না কেন তাকে আইনেরআওতায় নিয়ে আসা হবে।