হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার লাখাই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের অন্তরগত গজারি নদীর পারে ডিজেল দিয়ে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকার জাল।
১৮ অক্টোবর রোজ সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক পৌনে তিনটার সময় লাখাই স্বজন গ্রাম নোহাটি গজারি নদীর পাড়ে পরিকল্পিতভাবে দুষ্কৃতকারীরা পায় ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকার ধলজ্বালিতে আগুন লাগিয়ে দেয়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ঘটনার সময় রাত আনুমানিক পৌনে তিনটার সময় স্বজন গ্রাম নোহাটি গজারী নদীর পাড়ে ধলেশ্বরী ৩ লিজকৃত নদী বাদ দেওয়ার জন্য লক্ষ লক্ষ টাকার জাল ওইখানে রাখেন স্বজন গ্রামের মৃত. সোনার চান দাসের ছেলে প্রিয়তোষ দাস এবং পূর্ব রুহিতুনশি গ্রামের মৃত হরচান দাসের ছেলে কৃষ্ণ দাস। ওই জ্বাল গুলো পাহারায় নিয়োজিত ছিলেন, নিতাই দাস, নিত্য দাস, রঞ্জিত দাস সহ আরো কয়েকজন। তারা সেখানে অস্থায়ীভাবে ত্রিপল দিয়ে থাকার ব্যবস্থা করে এখানে জ্বাল পাহাড়া দেন। ঘটনার সময় কয়েকজন ঘুমিয়ে ছিল কয়েকজন সজাগ অবস্থায় ছিল। হঠাৎ রাত আনুমানিক পৌনে তিনটার সময় তাদের জ্বালের আটির মধ্যে ও নৌকায় ডিজেল দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুন দেখে পাহারাদার গুলো চিৎকার শুরু করলে ঘটনার স্থান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখে কয়েকজন। পাহারাদাররা বলেন পালিয়ে যাওয়া লোকদের তারা চিনতে পেরেছে। তারা হলেন, নসিব মিয়া(২৬),পিতা-নুরু মিয়া,গ্রাম স্বজন গ্রাম। আশিক মিয়া (২৮)পিতা- হারিস মিয়া,গ্রাম শিবপুর। সাদির মিয়া (৪০)পিতা-মৃত সুরুজ আলী,গ্রাম সুজনপুর। সোহেল মিয়া (৩৫),পিতা-সোলমান মিয়া,গ্রাম পূর্ব রোহিত তুনসি।জিলু মিয়া(৪০),পিতা-আবু মিয়া,স্বজন গ্রাম। আকাইদ(৩০),পিতা-হারিছ মিয়া,শিবপুর।
হারিস মিয়া(৬০),পিতা-মৃত ইদ্রিস আলী সহ কয়েকজন।
এ ব্যাপারে প্রিয়তোষ দাস বলেন, অপরাধী গুলা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্নভাবে আমাদেরকে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। আমাদের ক্ষতি করার জন্য তারা উঠেপড়ে লেগেছে। তাদের নামে পূর্বে লাখাই থানা একটা সাধারণ ডায়েরি করা আছে।আমি জ্বাল গুলো ধলেশ্বরি ৩ নদী বাঁধ দেবার জন্য এখানে রাখা হয়েছিল। রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতিকারীরা পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে ১ নং লাখাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফ আহমেদ রূপন জানান, অপরাধীরা দীর্ঘদিন যাবত পরিকল্পিতভাবে আমাদের বিভিন্ন দিক থেকে ক্ষতি করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে পূর্বেই লাখাই থানায় মামলাসহ সাধারণ ডায়েরি করা আছে। এই মামলা এবং সাধারনডায়রীর জের ধরেই এই ঘটনা ঘটায়।এ ব্যাপারে আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এ ব্যাপারে লাখাই থানা স্বজন গ্রাম পুলিশ ফাঁড়ির এ এস আই রুহুল আমিন জানান,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমরা গিয়ে ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকার জাল আগুনে পোড়া দেখতে পাই। ডিজেলসহ কন্ট্রিন ঘটনা স্থল থেকে উদ্ধার করি।