বিল্লাল আহমেদ: হবিগঞ্জ জেলার হাওর অঞ্চল বেষ্টিত লাখাই উপজেলার সংলগ্ন বানিয়াচং উপজেলার সুজাতপুর হানিফ খাঁন দ্বিমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর সভাপতি ও সহকারী ইংরেজী শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে অকৃতকার্য ছাত্র-ছাত্রীকে কৃতকার্য করার অভিযোগ উঠেছে।
বানিয়াচং উপজেলার সুজাতপুর ইউনিয়নের হানিফ খান দ্বিমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় এসএসসি পরীক্ষার্থী দের মাঝে অকৃতকার্যদের কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে পরীক্ষা অংশগ্রহণের জন্য সুযোগ করে দিবেন বলে দাবি করেছেন অত্র বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক আমির আলী ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ মলু মিয়াঁ চৌধুরী।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন জিয়াউর রহমান, ভক্ত রঞ্জন দাস, আব্দুল সাত্তার নামে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক,জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর নিকট।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এ বছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন ১৩২ জন এর মধ্যে ৭২ জন রেগুলার পাস করেছেন কিন্তু সভাপতি ও সহকারী শিক্ষক এর যোগসাজশে পাঁচজন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন এদের মধ্যে কোন শিক্ষার্থী দুই বিষয় তিন বিষয় কোন কোন ছাত্র চার বিষয়ে ও ফেল করেছে তারপরও তাদেরকে সুযোগ করে দিয়েছে।
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি অকৃতকার্য ছাত্র-ছাত্রীগণ ও অভিভাবকগণের পক্ষে ব্যক্ত করিতেছি সভাপতি মালু চৌধুরী ও সহকারী ইংরেজী শিক্ষক মোঃ আমির আলী উভয়ের যোগসাজসে অসৎ উপায়ে উক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোঃ শাহান মিয়া পিতা মোঃ জয়নাল মিয়া, রোল নং-৩৫, শ্রেণী-
এস.এস.সি পরীক্ষার্থী ২০২৪ সালের। (ক), বিভাগ। মানবিক বিভাগ। উক্ত শিক্ষার্থীকে এস.এস.সি টেস্ট পরীক্ষায় ০৩ (তিন) বিষয়ে অকৃতকার্য হওয়ায় তাহাকে উক্ত বিদ্যালয়ের সহকারী ইংরেজী শিক্ষক মোঃ আমির আলী (বাইশ হাজার) টাকা অবৈধভাবে দাবী করেন।
পরবর্তীতে বিভিন্ন দর কষাকষির পর উক্ত শিক্ষার্থী (দশ হাজার) টাকা বলিলে উক্ত শিক্ষক তা মানেন নাই, (বিশ হাজার) টাকা না দিলে আগামী২০২৪ সালের এস.এস.সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের অনুমতি প্রদান দিতে পারবেন না বলেন।
উক্ত কথোপকথন মোবাইল ফোনে রেকর্ড সংগ্রহ করা হয়েছে। উক্ত সহকারী ইংরেজী শিক্ষক অসৎ উপায় অবলম্বন করিয়া উক্ত বিদ্যালয়ের কোন কোন শিক্ষার্থীদের ৩/৪ বিষয়ে অকৃতকার্য হওয়া সত্ত্বেও আগামী ২০২৪ সালের এস.এস.সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করার অনুমতি প্রদান করে বিদ্যালয়ের অধিকাংশে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের অনুমতি না পাওয়ায় বিদ্যালয়ের সভাপতি ও সহকারী ইংরেজী শিক্ষকের অনিয়ম-দূর্নীতির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিকট জোর দাবি জানান।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোছাম্মদ রুবি খানম চৌধুরী সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি। পরে ফোন কেটে দেন।
সহকারী শিক্ষক আমির আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাকে ফাঁসানোর জন্য ষড়যন্ত্র চলছে আমি কি বলবো বলার ভাষা নেই আপনি ২২ হাজার টাকা চেয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমার কন্ঠ নকল করে ষড়যন্ত্র করছে।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মলু মিয়া চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিভাবকদের যদি কোন অভিযোগ থাকলে আমার কাছে বলতো আমি দেখতাম বাহিরে অভিযোগ করে কি লাভ একজন ছাত্র সাত বিষয়ে ফেইল করেছে তাকে কিভাবে আমরা এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেই ।