জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

লাখাইয়ে টিকারপুর সেচ প্রকল্প নিয়ে  দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি  অভিযোগ।।৷ তদন্ত শুরু

হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলা টিকারপুর সেচ প্রকল্প এল এল পি  দীর্ঘদিন ধরে ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে মোড়াকড়ি ইউনিয়নের মাহফুজুর রহমান

 

 

এ সেচ প্রকল্পটি পাওয়ার জন্য, এ প্রকল্পের আওতায় উপজেলা শেষ কমিটির বরাবরে মোরাকড়ি গ্রামের মৃত মতি মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ হাদিস মিয়া একটি লিখিত আবেদন করেন।

 

 

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, টিকারপুর এল এল পি সেচ প্রকল্পটি উপজেলা লাখাই ইউনিয়নের সন্তোষপুর গ্রামের পার্শ্বে কলকলিয়া নদীতে স্থাপিত। যা প্রায় দীর্ঘ বছর ধরে ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে মাহফুজুর রহমান। সেচ প্রকল্পের পানি যাবার ড্রেইনটি ভেঙে প্রায় শেষ,পড়ে আছে ড্রেনের পরিত্যক্ত কংক্রিট। এ মৌসুম এই স্কিমের আওতায় জমিগুলোতে পানি দিতে হলে পুনরায় সম্পূর্ণভাবে মেরামত করতে হবে ড্রেনগুলো। না হলে জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব হবে না। এ সেচ প্রকল্পের আওতায় প্রায় দেড়শ বিঘার উপরে জমি রয়েছে।

 

 

এ ব্যাপারে ম্যানেজার মাহফুজুর রহমান বলেন, এই শেষ প্রকল্পে বিগত বছর আমার অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমরা এর বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে মাটি কেটে ড্রেন করে পানি দিতে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রাথমিক অনুমতি পেয়েছি। এভাবেই আমরা শেষ প্রকল্প চালু করে কৃষকদের চাষাবাদের ব্যবস্থা করব।

 

 

তিনি আরো বলেন, আমাকে বিভিন্ন হুমকি দামকি  দিয়ে মোরাকড়ি গ্রামের হাদিস মিয়া প্রকল্পটি দখল করে নেয়ার পাঁয়তারা করে যাচ্ছে।কিন্তু অধিকাংশ কৃষক চায় প্রকল্পটি আমার দায়িত্বে থাকুক।

 

 

এ ব্যাপারে সেচ প্রকল্পের আওতায় কৃষক মোঃ ছলিম হোসেন জানান, দীর্ঘদিন যাবত মাহফুজুর রহমানের দায়িত্বে এই সেচ প্রকল্প থেকে আমরা খুব ভালোভাবেই সেচের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছি।

 

অন্য এক কৃষক শামসুমিয়া বলেন, এ সেচ প্রকল্পের আওতায় আমরা কৃষকরা দীর্ঘদিন যাবত জমি চাষাবাদ করে আসছি। দীর্ঘদিন সেচের সুবিধা পেতে আমাদের কোন সমস্যা হয়নি।

 

 

এ ব্যাপারে হাদিস মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে, তিন বলেন,  এতদিন অনেক লাঞ্ছিত হয়েছি,এখন এ প্রকল্প দখলের জন্য লিখিত আবেদনের মাধ্যমে চেষ্টা করে যাচ্ছি । তিনি আরো বলেন, আমার সাথে অনেক কৃষক আছেন।

 

 

জেলা উপসহকারী প্রকৌশলী হাসানুল হক তিনি বলেন, শেষ প্রকল্পের জন্য নতুন করে পাইপ এর মাধ্যমে ড্রেনের ব্যবস্থা করা হবে। বর্তমানে বিএডিসি কর্তৃক যে ড্রেনটি নির্মাণ করা হয়েছিল সেটি বিগত বনের কারণে ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। এ বছর সংশ্লিষ্টদের নিজ উদ্যোগে মাটি কেটে ড্রেন  নির্মাণ করে সেচ প্রকল্পের সেচের কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য ম্যানেজারদেরকে বলা হয়েছে।