জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

লাখাইয়ে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট

হবিগঞ্জের লাখাইয়ের গুনিপুর গ্রামে ছোরাব মিয়ার দলের সাথে একই গ্রামের শরিফুল ইসলাম খান এর দলের সংঘর্ষে গুরুতর আহত ফরিদ খান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরন করেন।

এর জেরে শরিফুল ইসলাম এর লোকজন ছোরাব মিয়ার দলের লোকজন এর বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর, লুটপাট চালিয়ে যাচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই শরিফুল ইসলাম খান এর লোকজন পরিকল্পিত ভাবে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের মাধ্যমে গ্রামে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছে।

 

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার গুনিপুর গ্রামে সরজমিন পরিদর্শন ও স্থানীয় লোকজনের সাথে আলাপকালে জানা যায় গুরুতর আহত ফরিদ খান মারা যাওয়ার সংবাদ পেয়েই তাঁর পক্ষের শরিফুল ও আওয়াল খান এর নেতৃত্বে প্রায় ২ ০০-২৫০ নারী পুরুষ তাদের প্রতিপক্ষের বাড়ী ঘরে হামলা চালায়।

 

হামলায় টিকতে না পেরে পুরুষের পাশাপাশি নারী ও শিশুরাও ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়।জনশূন্য ঘর বাড়ি গুলোর মধ্যে পাকা বাড়ি গুলোতে প্রতি রাতেই নারী পুরুষরা হাতুড়ি ও শাবল দিয়ে একের পর এক বাড়ি ভেঙে চলেছে। পরিদর্শন দেখা যায় ছোরাব মিয়া,আবদুল কাইয়ুম, নাসির উদ্দীন, জুয়েল মিয়া,আব্দুর রাজ্জাক, মোতাব্বির,জিলু মিয়ার বাড়ি সহ ১১ টি ঘর ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছেন। গুনিপুর গ্রামে ছোরাব মিয়ার দলের পাকা ঘর কোন ঘর অবশিষ্ট নেই। এখন হরিনাকোনা গ্রামে বসবাস রত ছোরাব মিয়ার দলের লোকজন এর বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর এবং লুটপাট এর আতংক বিরাজ করছে।

 

সূত্রে জানা যায়, গ্রামে পুলিশ টহল থাকলেও ভাংচুর ও লুটপাটে নারীদের অংশ গ্রহণে আধিক্য থাকায় পুলিশ তা নিবৃত্ত করতে পারে না।লোকজনের সাথে আলাপকালে জানা যায় এরই মধ্যে প্রায় ২ কোটি টাকার মতো ক্ষতি সাধন হয়েছে।

 

ছোরাব মিয়ার দলের কোন পুরুষ মহিলা বাড়ীতে না থাকায় তাদের সাথে আলাপ করা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে লাখাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মরত ওসি বন্দে আলী মিয়ার সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন,  ভাঙচুরের ঘটনা শুনেছি গঠনার স্থলে দায়িত্ব রত পুলিশ সদস্য দের সাথে ও তারা ভালো আচরণ করেননি গভীর রাতে নারী-পুরুষ মিলে ভাঙচুর করে খবর পেয়ে আমিও ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের কয়েকজনের সাথে আলোচনা করে এসেছি এবংযা ঘটেছে নতুন করে যাতে আর কোন ঘর ভাঙ্গা না হয় নিষেধ করা হলো তারা ঘর ভাঙচুর করেছে।

ঘটনার পর থেকে পুলিশ সদস্যরা ধারাবাহিকভাবে অবস্থান করছে।

এ ঘটনা আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়কে এবং সেনাবাহিনীর সাথেও এ ব্যাপারে আলাপ করেছি আমায় আমার অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি এ ব্যাপারে ভাঙচুরের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) নাহিদা সুলতানা এর সাথে আলাপকালে জানান, গুনিপুর গ্রামে ভাংচুর, লুটপাট এর সংবাদ পেয়েছি এবং অনেক মহিলাও আমাকে তাদের করুন অবস্থা জানিয়েছে ।এ বিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।