জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

লাখাইয়ে প্রশংসাপত্র বিতরণে অর্থ আদায়ের অভিযোগ

বিল্লাল আহমেদ: হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার বামৈ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রশংসাপত্র বিতরণে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এর আগেও ওই বিদ্যালয়ে বই বিক্রি সহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ সহ এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষায় অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছিল। হবিগঞ্জের দৈনিক প্রতিদিনের বাণী সহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকা সংবাদ প্রকাশিত হয়।

শিক্ষার্থীরা জানান, উপজেলার বামৈ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়২০২৪ সালের অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া প্রত্যেক শিক্ষার্থীর নিকট থেকে প্রশংসাপত্রের জন্য ৩০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। প্রশংসাপত্র বিতরণে টাকা উত্তোলনের কোনো সরকারি আদেশ না থাকলেও নিয়মবহির্ভূতভাবে রশিদ না দিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এসব টাকা আদায় করছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে শিক্ষাবোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী সব শিক্ষার্থীর সনদপত্র, মার্কশিট ও প্রশংসাপত্র (ট্রান্সক্রিপ্ট) ফি বোর্ড পরীক্ষার পূর্বে ফরম পূরণের সময়ে আদায় করা হয়। এ ছাড়া বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার ফি ও অন্যান্য খাত দেখিয়ে কোনো প্রকার রশিদ ছাড়াই প্রশংসাপত্রের জন্য ৩০০ টাকা করে আদায়ের অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

অভিভাবক মাসুক রানা বলেন, প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে প্রশংসাপত্র দিয়ে রশিদ ছাড়া জনপ্রতি ৩০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। ওই টাকা না দিলে স্কুল থেকে প্রশংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে না। এর আগেও এসএসসির ব্যবহারিক পরীক্ষার সময় জোরপূর্বক আমাদের থেকে ৩০০ টাকা আদায় করেছিল। এ নিয়ে লাখাই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছি।

জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মামুনুর রশিদ চৌধুরী ঘটনার সত্যতার স্বীকার করে বলেন, প্রশংসাপত্রের জন্য সব স্কুলে টাকা নেয় আমরা নেই । অনেক আগে থেকেই আমরা ৩০০ টাকা নিচ্ছি এখনো নেই। তিনি আরো বলেন আমরা ওই টাকা বিদ্যালয় এর ব্যাংকের একাউন্টে জমা দিচ্ছি। টাকা নেওয়ার নিয়ম আছে কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন এ ব্যাপারে আমার জানা নেই তবে সকলে নিতেছে আমি নেই আর আমার বিদ্যালয়ের অতিরিক্ত স্টাফ থাকার কারণে এটাকাগুলো নিতে হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাহিদা সুলতানা সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন, বামৈ মডেল উচ্চ বিদ্যালয় নয়, এখন বামৈ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রশংসাপত্র দিয়ে যদি ৩০০ টাকা নেয় তা হলে এ বিষয়ে কেহ লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।