হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলা গুণীপুর গ্রামে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালিয়ে নারী-শিশুসহ ২০ জনকে আহত করা হয়েছে।
এসময় একপক্ষের ঘরবাড়ি ও দোকানপাটে হামলা চালিয়ে ভাংচুর-লুটপাট করা হয়।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এই সংঘর্ষ হয়। এর আগে শনিবার বিকেলে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
হামলায় গুণীপুর গ্রামের জিলু মিয়ার ছেলে মোশাহিদ মিয়া (৩৮), তার স্ত্রী শাহেনা আক্তার (৩০), ছোরাব মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়া (৩০), হাজী আতাউর রহমানের ছেলে গাজীউর রহমান (৩০), আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে আমজাদ মিয়া (১৬), মোতাব্বির হোসেনের ছেলে তামিম মিয়া (১৭), আব্দুল কাইয়ুমের মেয়ে মাইশা আক্তার (১০), মোতাব্বির হোসেনের ছেলে হামিম (৬), কদ্দুছ মিয়ার ছেলে কালাই মিয়া (১৫), হাজী আতাউর রহমানের ছেলে মিন্টু মিয়াসহ (৩৮) ২০ জন আহত হন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- গত শনিবার বিকেলে গুণীপুর গ্রামের একটি মাঠে শিশু-কিশোরদের মধ্যে ফুটবল খেলা চলছিল।
এসময় ওই গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে আমজাদ সাথে নুরুল আমীনের ছেলে নয়নের মধ্যে বাক্বিতণ্ডা থেকে হাতাহাতি হয়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। তবে গ্রামের মুরুব্বিরা বিষয়টি পরদিন শেষ করার দায়িত্ব নেন। মুরুব্বিরা আব্দুল কাইয়ুমের পক্ষের লোক ছোরাব মিয়ার বাড়িতে গিয়ে সালিসের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পরে নুরুল আমিনের বাড়িতেও মুরুব্বিরা যান। তার বাড়িতে থাকার সময়ই ছোরাব মিয়ার এক লোকের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে আহত করা হয়। এরপর দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে ২০ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলা সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
আহতদের একজন মোতাব্বির হোসেন অভিযোগ করে বলেন- নুরুল আমিনের লোকজন আমাদের উপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে আহত করেছেন।
এছাড়াও আমাদের ঘরবাড়ি ও দোকানপাটে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। আমার ফার্মেসি থেকে ৭/৮ লাখ টাকার ওষুধ লুট করা হয়েছে। আমার ধান কাটার হারভেস্টার মেশিন ভাংচুর করেছে তারা।
লাখাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল খায়ের জানান- মারামারি ঘটনা পুলিশ জেনেছে। স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় সেই মারামারি থেমে যায়। কোনপক্ষই পুলিশের কাছে অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।