হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলা ৬ নং বুল্লা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বেগুনাই গ্রামের নিকটস্থ হাওয়ারে কুমুরিয়ার বিলের পাশে ছুট্টু মিয়ার সহ ভাইদের ৫০ বিঘা জমি রয়েছে এর মাঝে ৫ টি ডোবা সহ জমিতে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে বেগুনাই গ্রামের আব্দুল আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম ও মনতাজ মিয়ার ছেলে নাজিম তালুকদারের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার ৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে ঘটনাটি ঘটে। এতে মাছচাষী আব্দুর রেজ্জাক ছোট মিয়ার দুই থেকে আড়াই লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, আব্দুর রেজ্জাক ছোট মিয়ার বিল পাহারা দেওয়ার জন্য ত্রিপল দিয়ে অস্থায়ীভাবে ঘর বানিয়ে পাহারায় ছিলেন তার দুই ছেলে আব্দুল্লাহ ও রাজু মিয়া।
আব্দুল্লাহ ও রাজু মিয়া জানান, আমরা অন্যান্য দিনের মতো ওই বিলে পাহারার জন্য আমাদের অস্থায়ী ঘরে অবস্থানকালে,আমাদের বিলের পাশ দিয়ে নজরুল ইসলাম ও নাজিম তালুকদারকে বৃহস্পতিবার আনুমানিক রাত্রে ৯ ঘটিকার সময় হেঁটে যেতে দেখেছি।আমাদের বিলের পাশ দিয়ে আসা-যাওয়ার কোন রাস্তা নেই। কিন্তু ওরা দুজন কয়েক বার আমাদের বিলের পাশ দিয়ে হেঁটে গিয়েছে।
তাদেরকে জিজ্ঞেস করলে কোথায় গিয়েছিলে, উত্তরে জানান কাজে ওইপার গিয়েছিল। পূর্বে এমন কোন ঘটনা ঘটনাই বলে আমরা ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমাদের বিলের সকল ছোট বড় মাছ মরে ভেসে উঠেছে। তখন আমাদের বিলের পারে কিছু বুলেটের প্যাকেট পাই। স্থানীয় মানুষজন ডোবায় নেমে ভেসে উঠা বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছ ধরেছেন। যারা এই ন্যাক্কারজনক কাজ করেছে আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এ ব্যাপারে বেগুনাই গামের নুরুল হোসেনের ছেলে জালাল মিয়া বলেন, আমি সকালে এসে দেখি সব মাছ মরে পানিতে ভেসে গেছে। কে বা কারা যেন বিষ দিয়ে চলে গেছে। বিষ দেওয়ার কারণেই সব মাছ মরে পানির উপর ভেসে উঠেছে।কে বিষ দিয়েছে বলে জিজ্ঞেস করলে, উত্তরে বলে আমি দেখি নাই।
এ ব্যাপারে বেগুনাই গ্রামের ফয়সাল মিয়া জানান,কে যেন বিষ দিয়েছে খবর শুনে আমি এসে দেখি বিলের কিছু মাছ মরে ভেসে উঠেছে।
বিষয়টি গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবগত করা হয়েছে বলে জানান আব্দুর রেজ্জাক ছোট মিয়া এবং তিনি বলেন এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে থানায় অভিযোগ করব।