জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

লাখাইয়ে অটোরিক্সায় ভাড়া আদায়ে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি, যেন দেখার কেউ নেই

  1.  হবিগঞ্জ লাখাই সড়কে সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।

হবিগঞ্জ- লাখাই সড়কে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালক এবং যাত্রীদের মধ্যে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নিয়ে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় ও বাক বিতণ্ডার মতো ঘটনা ঘটে চলেছে প্রায়শ। চালকরা যে যার মতো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে চলেছেন। ফলে যাত্রীসাধারন পড়েছে বিপাকে। প্রতিনিয়ত বর্ধিত হারে ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীসাধারণের। দীর্ঘদিন যাবৎ এ অবস্থা চলতে থাকলেও তা প্রতিকারে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নেই কোন উদ্যোগ। ফলশ্রুতিতে যাত্রীরা পড়েছে জিম্মি দশায়, এ যেন দেখার কেউ নেই।
ভুক্তভোগীরা জানান হবিগঞ্জ টু লাখাই সড়কে দীর্ঘদিন যাবৎ অটোরিক্সা চালকেরা বর্ধিত হারে ভাড়া আদায় করে চলেছেন। করোনা সংক্রমন রোধে চলমান লকডাউন এর সময়ে ভাড়া বৃদ্ধি করার পর থেকে অধ্যাবদি সেই বর্ধিত হারে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
স্বাভাবিক অবস্থায় হবিগঞ্জ থেকে উপজেলার বুল্লাবাজার পর্যন্ত নির্ধারিত ভাড়া ছিল ৩০ টাকা, কালাউক বাজার পর্যন্ত ভাড়া ছিল ৪০ টাকা ও বামৈবাজার পর্যন্ত ৫০ টাকা ভাড়া নির্ধারন করা ছিল। পরবর্তীতে করোনা ভাইরাস লকডাউন চলাকালীন সময়ে ভাড়া বৃদ্ধি পেলে তা অদ্যাবদি পূর্বাবস্থায় ফিরে আসেনি। প্রতিটি স্টপেজ এ ১০-১৫ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে চলছে। দিনের বেলায় ১০/১৫ টাকা বেশি ভাড়ায় যাতায়াত করতে পারলেও সন্ধ্যা নামার পরপরই প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হয় যাত্রীসাধারণের। ক্ষেত্রবিশেষে সিটিং অর্থাৎ ৫ জন যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না এই অজুহাতে দুই থেকে তিনগুন ভাড়া আদায় করে থাকে।
এ নিয়ে উপজেলার বামৈ গ্রামের শফিকুল ইসলাম জানান, আমি প্রতিদিন হবিগঞ্জ লাখাই সড়কে যাতায়াত করে থাকি। আমাকে প্রতিদিন হবিগঞ্জ থেকে বুল্লাবাজার পর্যন্ত ৪০ টাকা ও কালাউক বাজার পর্যন্ত ৫০ টাকা ভাড়া গুনতে হয়। অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে আপত্তি জানালে চালকরা রীতিমতো অসদাচরণ করে।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুহুল আমিন জানান, অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া এ বিষয়ে স্থানীয় পরিবহন সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।