উপজেলার ১নং লাখাই ইউনিয়নে লাখাই বাজার থেকে বামৈ পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার ডিসি সড়কটি গুরুত্বপূর্ন একটি সড়ক। ব্যবসা- বানিজ্য, যাতায়াতসহ বিভিন্ন কারনে সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত করতে পারে এ সড়কটি। কিন্তু রাস্তাটি আডোবা হিসেবে নির্মান না হওয়ায় ইউনিয়নের হাজার হাজার জনগনের দুর্ভোগ চরমে।
শুকনো মৌসুমে এ সড়কে যাতায়াত করে ইউনিয়নের শিবপুর, সুজনপুর, আমানুল্লাহপুর, মাহমুদপুর, চিকনপুর, রুহিতনসী, স্বজনগ্রাম, সন্তোষপুর, কৃষ্ণপুর, কামালপুর গ্রাম সহ ভাটি এলাকার হাজারো মানুষ।
এছাড়া উপজেলার পার্শ্ববর্তী কিশোরগঞ্জ ও ব্রাক্ষনবাড়িয়া জেলার মানুষের যোগাযোগ ও চলাচলের কারনে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই সড়কটি। ইউনিয়নের অধিকাংশ লোক ঢাকায় ব্যবসা-বানিজ্যের সাথে সম্পৃক্ত থাকায় রাজধানীর সাথে তাদের একটা আন্তঃসম্পর্ক তৈরি হয়েছে।
উপজেলার বলভদ্র নদীর উপর হবিগঞ্জ-৩(হবিগঞ্জ সদর- লাখাই -শায়েস্তাগঞ্জ) আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ব্রীজ নির্মিত হওয়ার ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক র্উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।
ফলে হবিগঞ্জ জেলা সহ অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় ঢাকার সাথে দূরত্ব কমে গুরুত্বপূর্ন হয়ে উঠেছে লাখাই – নাসিরনগর -সরাইল আঞ্চলিক মহাসড়ক।
তাই লাখাই টু বামৈ সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেছে। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে পানিতে তলিয়ে যায় এ গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি। এর ফলে ৪ মাস বিচ্ছিন্ন থাকে ১নং লাখাই ইউনিয়ন।
এসময় নৌকা হয়ে উঠে এ অঞ্চলের একমাত্র বাহন। শুকনো মৌসুমে ১০-১৫ টাকায় লাখাই বাজার থেকে বামৈ পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সড়কে ১০ মিনিটে যাতায়াত করা যায়। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে সেই গন্তব্যে পৌঁছতে ৩০ টাকা লাগে এবং সময় লাগে ১ ঘন্টা বা তার বেশি। এছাড়া নৌকার মাঝিরা যাত্রী পূর্ন না হওয়া পর্যন্ত ঘাটে ঘাটে নৌকা ভিড় করেন।
এতে সীমাহীন কষ্ট ও দুর্ভোগ পোহাতে হয় কলেজগামী শিক্ষার্থী ও রোগীদের যারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা গ্রহণ করতে যেতে হয়।
বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য তা হয়ে ওঠে মৃত্যুপুরী। তাছাড়া সন্ধ্যা হলে গন্তব্যে পৌঁছুতে সাধারণ যাত্রীদের গুনতে হয় ৩০০- ৫০০ টাকা।
এসময় যাত্রী নেই ও একা নেওয়া যাবেনা এই অজুহাতে আদায় করে অতিরিক্ত ভাড়া। তাই জনমনে এ নিয়ে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এলাকাবাসীর পক্ষে দাবি উঠছে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে লাখাই – বামৈ সড়কটি আডোবা হিসেবে নির্মান করা হোক।
এ বিষয়ে ইউনিয়নবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি এই সড়কটি সকল প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে শীঘ্রই আডোবা করা হোক।
এছাড়া ১নং লাখাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরিফ আহমেদ রোপম জানান, এই রাস্তাটি আডোবা নির্মান হলে ইউনিয়নবাসী পর্যাপ্ত শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা সেবা পাবে ও এলাকার উন্নয়ন হবে।