জনপ্রিয় ৫ সংবাদ

আরো কিছু সংবাদ

লাখাইয়ে আশ্রয়নের ৮৪ পরিবারের চোখে স্বপ্ন

সৈয়দ সালিক আহমেদঃ মুজিববর্ষে প্রধান মন্ত্রীর উপহার হিসেবে আশ্রয়ন প্রকল্পের ৮৪ টি ঘর বরাদ্দ পেয়ে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারে বইছে আনন্দের বন্যা।

আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রথমপর্বে ৭৭ টি ও দ্বিতীয় পর্বে ৭ টি সহ মোট ৮৪ টি গৃহ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে লাখাই উপজেলার ৮৪ টি গৃহহীন পরিবারের মধ্যে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলো তাদের স্বপ্নের ভূমি সহ ঘর পেয়ে খুবই উল্লাসিত।

এক সময় যারা অন্যের বাড়ীতে আশ্রিত ছিল আজ তারা নিজ আধুনিক সুযোগ সুবিধা সমেত বাড়ির বাসিন্দা। তাই তাদের চোখে মুখে তৃপ্তির হাসি। আশ্রয়ন প্রকল্প- ২ এর আওতায় প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় পাকাবাড়ি পেয়ে তারা কৃতজ্ঞ। তারা প্রধান মন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তাঁর দীর্ঘায়ূ কামনা করছে।

সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা যার গৃহ বরাদ্দপ্রাপ্ত পরিবার গুলো ইতিমধ্যে তাদের ঘরে বসবাস করছে। যারা এখনো আসেনি তারাও ২/৪ দিনের মধ্যেই এসে যাবে এমনই প্রস্তুতি চলছে। ঘরের বাসিন্দাদেরকে বিদ্যুতের ব্যবস্থা ও পানীয়জলের জন্য নলকূপ বসানে হয়েছে।ঘরগুলো সুন্দর পরিপাটি সাজানো গোছানো রয়েছে।

পরিদর্শনকালে উপজেলার কাসিমমপুর আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা বায়োবৃদ্ধ লায়েছ মিয়া (৬০) জানান, আমি উপজেলার মোড়াকরি গ্রাম থেকে এখানে ঘর পেয়ে এসেছি। আমার কোন ঘরবাড়ি জমিজমা ছিলনা, ভিক্ষা করে জীবন চলতো। অন্যের বাড়ীতে থাকতাম, এখন আমার বাড়ি হয়েছে। সরকার আমাকে ঘর দিয়েছে, জমি দিয়েছে।

আমি খুব খুশী, আমি সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্যে দোয়া করি। বিধবা আসমা বেগম (৩৫) জানান, আমি নিরাশ্রয় ছিলাম। সরকার আমাকে ঘর দেওয়ায় সরকারের জন্য দোয়া করি। আমার এখন কোন সমস্যা নেই, সুখে আছি।আকলিমা (২৫) নামের এক মহিলা জানান, আমি আমার চাচার বাড়ীতে থাকতাম। আমার নিজের ঘর হবে কোনদিন ভাবি নাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দয়া করে আমাকে ঘর দিয়েছে।আমি তাঁর জন্যে দোয়া করি।আল্লাহ যেন বাঁচিয়ে রাখেন।

আশ্রয়ন প্রকল্পের লাখাই প্রকল্প কমিটি সুত্রে জানা যায়, ৮৪ টি ঘরের মধ্যে মুড়িয়াউক ইউনিয়নের মশাদিয়া গ্রামে ১৮ টি, করাব ইউনিয়নের মনতৈল গ্রামে ৯ টি, রাঢিশাল গ্রামে ১৭ টি, হরিনাকোনা গ্রামে ২ টি, মোড়াকরি ইউনিয়নের কাসিমপুরে ২০ টি ও মোড়াকরি গ্রামে ১৮ টি ঘর রয়েছে। ঘরগুলোতে ইতিমধ্যে বরাদ্দপ্রাপ্তরা এসে গেছে আর যারা এখনো আসেনি তারাও কয়েকদিনের মধ্যেই এসে যাবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুসিকান্ত হাজং এর সাথে আলাপকালে জানান, আমরা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সকল সদস্য সম্মিলিত ভাবে প্রকল্পের কাজ করেছি।

এক্ষেত্রে আমাদের সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ সকলের মতামতে পরামর্শে প্রাক্কলিত অর্থ দিয়ে মানসম্মত গৃহ নির্মান করেছি। আমাদের বরাদ্দপ্রাপ্তরা ইতিমধ্যে যার যার ঘর বুঝে নিয়েছে। যারা এখনো আসেনি তারা এক সপ্তাহের মধ্যেই আসবে। নতুবা বিধিমত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা পানি ও বিদ্যুৎ এর ব্যবস্থা করে দিয়েছি। কোন ধরনের সমস্যা পরিলক্ষিত হয়নি।