হবিগঞ্জের লাখাইয়ে হাওরে নৌকাভ্রমণে যাওয়া নববধূকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনার ছয়দিন পর মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় র্যাব ২ আসামী এবং লাখাই থানা পুলিশ ১ আসামীসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে নববধূর স্বামী বাদী হয়ে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
বিচারক জিয়াউদ্দিন মাহমুদ মামলাটি আমলে নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এফআইয়ার করতে লাখাই থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
মামলার আসামিরা হলেন মোড়াকড়ি গ্রামের খোকন মিয়ার ছেলে মুছা মিয়া (২৬), ইব্রাহীম মিয়ার ছেলে মিঠু মিয়া (২১), পাতা মিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়া (২২), বকুল মিয়ার ছেলে সুজাত মিয়া (২৩), মিজান মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া (২৫), ইকবাল হোসেনর ছেলে সোলায়মান রনি (২২), ওয়াহাব আলীর ছেলে মুছা মিয়া ২ (২০), রুকু মিয়ার ছেলে শুভ মিয়া (১৯)।
এদিকে এ ঘটনায় র্যাব এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে। তবে তাৎক্ষণিক নাম পরিচয় জানায়নি র্যাব। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবি হাফিজুল ইসলাম।
তিনি জানান, এক মাস আগে তাদের বিয়ে হয়। গত ২৫ আগস্ট দুপুরে বাড়ির পাশের ওই হাওরে তারা নৌকাভ্রমণে যান। নৌকায় নবদম্পতি, তাদের এক বন্ধু ও মাঝি ছিলেন।
সে সময় আরেকটি নৌকায় করে গ্রামের ৮ যুবক তাদের নৌকার গতি রোধ করেন। তাদের নৌকায় উঠে ওই যুবকরা তাকে ও তার বন্ধুকে মারধর করে আটকে রাখে। তার স্ত্রীকে ওই নৌকায় তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে।
মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে রাখা হয়। ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানালে ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেন যুবকরা। এ কারণে বিষয়টি এত দিন গোপন করে রেখেছিলেন তিনি।
তবে ঘটনার চার দিন পর ওই যুবকরা ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করে বলে জানান নববধূর স্বামী। টাকা না দেওয়ায় এলাকার কয়েকজনের কাছে ভিডিওটি ছড়িয়ে দেয় ওই যুবকরা।
এর মধ্যে তার স্ত্রীর শারীরিক অবস্থাও খারাপ হতে থাকে। এরপর তিনি স্ত্রীকে বুধবার হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এব্যাপারে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি ৩ জন আসামী গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।